বরিশালের বাবুগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী দুর্গাসাগরে হিন্দু সনাতন সম্প্রদায়ের স্নান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দুর্গাসাগরে এ উৎসব পালন করেন তারা।
প্রতি বছরের মতো আজও ঐতিহ্যবাহী মাধবপাশা দুর্গাসাগরে হাজার হাজার পুণ্যার্থীর আগমন ঘটে। আগতদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, চন্দ্রদ্বীপের রাজবংশের চতুর্দশ রাজা শিব নারায়ণের অকাল মৃত্যুর সময় তার স্ত্রী রানী গর্ভবতী ছিলেন। শিব নারায়ণের মৃত্যুর পর তার পুত্র পঞ্চদশ রাজা জয় নারায়ণ জন্মগ্রহণ করেন। বিধবা রানী দুর্গাবতী বুদ্ধিমতী ও প্রজাবৎসল মহিলা ছিলেন।
আঠারো দশকের শেষভাগে নাটোরের রানী ভবানী ও চন্দ্রদ্বীপের রানী দুর্গাবতী জমিদারি পরিচালনা করে বাংলার ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন। তিনি প্রজাদের মঙ্গলের জন্য অনেক পুকুর ও দীঘি খনন করেন। রানী দুর্গাবতী ১৮৭০ সালে বরিশালের বাবুগঞ্জে রাজধানী মাধবপাশায় এই দুর্গাসাগর খনন করেন। ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ সরকার দীঘিটি পুনঃসংস্কার করেন। দীঘির নিচের অংশের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৯৫০ ফুট এবং প্রস্থ ১ হাজার ৭৫০ ফুট।