বরিশাল সদর উপজেলায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এ্যাড. হ্যাপি

আসন্ন বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন কলস প্রতীকের প্রার্থী এ্যাড. হালিমা বেগম হ্যাপি। জমজমাট প্রচার-প্রচারনায় সদর উপজেলার ভোটারদের মুখে মুখে এখন হ্যাপির নাম। পূর্বের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের দুর্বল দায়িত্ব পালন ও জনবিচ্ছিন্নতাই এখন তাকে সাধারন ভোটারদের পছন্দের তালিকায় প্রথম স্থান দিয়েছে বলে মনে করেন হ্যাপি।

নির্বাচিত হলে সদর উপজেলাবাসীর কল্যাণে নিজের সর্বস্ব দিয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন হ্যাপি। সরকার থেকে প্রাপ্ত সকল সুবিধা
পৌঁছে দিতে চান সদর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায়। আসন্ন নির্বাচনে কলস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হালিমা বেগম হ্যাপি। তিনিসহ ৩ জন এই পদে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। অপর দুজন হলেন- হাঁস প্রতিকের নেহার বেগম ও ফুটবল প্রতিকের মারিয়া আক্তার।

নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে নিয়ে আলাপে হালিমা বেগম হ্যাপি বলেন, বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের বরিশাল মহানগর শাখার দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছিলেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। এছাড়াও বরিশাল জজ কোর্টের এজিপি তিনি। আইন পেশায় রয়েছেন তাই নির্বাচিত হলে সদর উপজেলার ভোটারদের সকল ধরনের আইনি সহায়তায় সর্বদা পাশে থাকবেন।

উপজেলার ১০ ইউনিয়নের ৯০ টি ওয়ার্ডে তার হাজারের অধিক কর্মী সমর্থকরা শতভাগ প্রচারনা সম্পন্ন করেছে বলে জানান হ্যাপি। প্রচন্ড গরমে কর্মীদের কষ্টের কথা ভেবে আগামী ১ মে পর্যন্ত প্রচারনা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তিনি বলেন, যারা প্রচারণায় নেমেছে সবাই তার উপজেলার মা-ভাই-বোন। তাই তাদের কষ্ট দিয়ে প্রচারণা করতে চান না। তবে ইতিমধ্যেই উপজেলার ঘরে ঘরে তার জনপ্রিয়তার রব উঠেছে। উপজেলার ভোটাররা ভালবেসে গ্রহণ করেছে তাকে। বিগত ১৫ বছরে একজন নারী ভাইস চেয়ারম্যানের কাছ থেকে যে সুবিধাগুলো পাওয়ার কথা তা কিছুই পায়নি উপজেলার বাসিন্দারা। সাবেকরা ছিল সবাই একেবারেই জনবিচ্ছিন্ন। এজন্য পরিবর্তন চায় ভোটাররা জানান হ্যাপি।

বর্তমানে তার সাথের দুই প্রতিদ্বন্দ্বি একই পরিবারের। তাদের ভাল করে উপজেলার মানুষ চেনেও না। এজন্য বেশ ফুরফুরে মেজাজেই চলছে হালিমা বেগম হ্যাপির নির্বাচনী কার্যক্রম। ৮ মে বিপুল ভোটে জনগন তাকে নির্বাচিত করবে বলে আশাবাদী তিনি।

নির্বাচিত হলে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ঘটিয়ে সর্বদা ভোটারদের পাশে থাকবেন। যেহেতু তিনি আইন পেশায় রয়েছেন তাই নির্বাচিত হলে উপজেলার ভোটারদের বিনামূল্যে সকল ধরনের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন বলেও জানিয়েছেন। কোন ধরনের ঝামেলা নেই প্রচার প্রচারনায়। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন নির্বাচন হলে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন হালিমা বেগম হ্যাপি।

উল্লেখ্য, আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ১ লাখ ৯৫ হাজারের অধিক ভোটার ৬৮ টি কেন্দ্রে ভোট প্রদান কর

Check Also

কোটি টাকার তেল চুরি করছে পায়রা বন্দর!সহযোগিতা করছেন, ডিপো-ঠিকদার আলো!

কোটি টাকার তেল চুরি করছে পায়রা বন্দর!সহযোগিতা করছেন, ডিপো-ঠিকদার আলো!

কোটি টাকার তেল চুরি করছেন পায়রা বন্দর!সহযোগিতা করছেন মেঘনা ডিপো-ঠিকদার আলো! ।। এম. লোকমান হোসাঈন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *