সময়ের বার্তায় ‘বরিশাল স্যালাইন অফিসে ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরী বাণিজ্যে’র সংবাদ প্রকাশের পর তদন্তে নামে বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রথমে বরিশাল সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সুমী আক্তারকে তদন্তের দায়িত্ব দেন বরিশাল সিভিল সার্জন।
ডা: সুমী আক্তারের তদন্ত প্রতিবেদন সন্তেুাষজনক না হওয়ায় পরবর্তীতে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আবদুল মুনয়েম সাদকে পুনরায় তদন্তের দায়িত্ব দেন সিভিল সার্জন। এই কর্মকর্তা দায়সারা তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন জমা দেন সিভিল সার্জন কার্যালয়।
তবে ডা: সাদ তার তদন্ত প্রতিবেদনের শেষ অংশে উল্লেখ করেছেন, ইলিয়াস কাঞ্চন এবং তার পিতার নামে মিল পাওয়া গেলেও জন্ম তারিখ অমিল পাওয়া যায়। এছাড়া ইলিয়াস কাঞ্চনের ৮ম শ্রেণী ও এসএসসির সনদ দুইটি প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক যাছাই বাছাই করার জন্য অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে উল্লেখ করা হয়েছে।
উক্ত তদন্ত প্রতিবেদনটি ২৩ মার্চ বরিশাল সিভিল সার্জন বরাবর জমা দেওয়ার হয়। অথচ জমা প্রদানের দীর্ঘ ৫ মাসেও আলোর মুখ দেখেনি তদন্ত প্রতিবেদনটি। নেয়া হয়নি পরবর্তী পদক্ষেপও। উল্লেখ্য, বরিশাল স্যালাইন শাখার স্যালাইন উৎপাদন কর্মী হারুন অর রশিদ যা বর্তমানে অবৈধভাবে স্টোর কিপারের পদ দখল করে ভুয়া সাটিফিকের্ট দিয়ে স্ত্রীসহ একাধিক ব্যক্তিকে স্যালাইন শাখার স্যালাইন উৎপাদন কর্মী হিসেবে অবৈধ চাকরী বাণিজ্য করে নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।
এ বিষয় অনুসন্ধানমূলক একটি সংবাদ প্রকাশ হয় সময়ের বার্তায়। সংবাদের উল্লেখ করা হয়, গত বছর সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত ও হারুন অর রশিদের নিটকতম স্বজন এবং বরিশাল নগরীর পশ্চিম বগুড়া কাজীপাড়ার বাসীন্দা মো: মোবারক আলী হাওলাদারের ছেলে ইলিয়াস কাঞ্চনকে ৮ম শ্রেণীর ভুয়া সার্টিফিকেটের মাধ্যমে স্যালাইন শাখায় চাকরী পাইয়ে দেন হারুন অর রশিদ।
ইলিয়াস কাঞ্চন বরিশাল বিএম কলেজ এলাকার কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষা শাখা হতে ২০০১-২০০২ শিক্ষাবর্ষ অনুযায়ী ২০০৩ সালে ২.৫০ নম্বর পেয়ে এস.এস. সি পাশ করেন। এস.এস সি’র সার্টিফিকেট অনুযায়ী ইলিয়াস কাঞ্চনের বয়স ১৯৮৮ সালের জুন মাসের ৬ তারিখ। যার রোল নং-৪০৩০৩১, রেজি নং-৭৬১২০৬।
অর্থাৎ চাকরীতে যোগ দেওয়ার সময় তার বয়স ছিল ৩২ বছর ৫ মাসের অধিক। যা সরকারী বিধিমালা অনুযায়ী চাকরীতে যোগদানের বয়স শেষ হয়েছে প্রায় আড়াই বছর পূর্বে।
ব্যবসা করতে চান?
জানুন: আগামী ২০২২ সালের ১০ টি লাভজনক বিজনেস আইডিয়া
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বরিশাল সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা সময়ের বার্তাকে জানান, স্যালাইন শাখায় ভুয়া সাটিফিকের্ট এর মাধ্যমে চাকরী এবং ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টি তদন্ত করে ইতোপূর্বে তদন্ত প্রতিবেদন দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে কি কারণে পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়া হয়নি সে বিষয় কোন মন্তব্য করতে নারাজ এই কর্মকর্তা।