ঈদ ও পহেলা বৈশাখের দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ। তাই ভোলার বিভিন্ন লঞ্চঘাটগুলোতে বেড়েছে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড়।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে ভোলার বিভিন্ন লঞ্চঘাট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
তবে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে সদর উপজেলার ইলিশা লঞ্চঘাটে। এ ঘাট থেকে মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ঢাকার উদ্দেশ্যে ১২টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আরও ছয়টি লঞ্চ ছেড়ে যাবে।
এছাড়াও ইলিশা থেকে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে চারটি সি-ট্রাক ও দুইটি লঞ্চ দুইবার করে ছেড়ে গেছে। এ ঘাট থেকে ঢাকা ও লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি লঞ্চই ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।
ইলিশা লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এমভি কর্ণফুলী-১১, এমভি কর্ণফুলী-৩ ও এমভি সম্পদসহ মোট ৬টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত এমভি দোয়েল পাখি-১, এমভি দোয়েল পাখি-১০, এমভি অগ্রদূত, এমভি ক্রিস্টাল ক্রুজ, এমভি কর্ণফুলী-১৪, গ্রিন লাইন-২ ছেড়ে গেছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এমভি তাসরিফ ও এমভি ফারহান, এমভি শতাব্দী বাঁধন, এমভি আল ওয়ালিদ-৪, সুরভী-৮ ও ফারহান-৯ ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। ইলিশা থেকে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে সিট্রাক এসটি খিজির-৮ ও এসটি খিজির-৫, সুকান্ত বাবু, শহিদ সালাম ও এমভি পারিজাত, এমভি অপরাজিতা ছেড়ে গেছে।
ভোলা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাওয়া মনির হোসেন, আল নোমানসহ ১০-১২ জন যাত্রী জানান, তারা ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে। বুধবার তাদের অফিস খোলা থাকায় তারা কর্মস্থলে চলে যাচ্ছেন।
ভোলা থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাওয়া গার্মেন্টকর্মী ফরহাদ, মফিজুল ইসলাম, নুর জাহানসহ ১০-১৫ জন যাত্রী জানান, বুধবার তাদের গার্মেন্টস খোলা থাকায় তারা বাড়ি থেকে ঢাকায় চলে যাচ্ছেন। ছুটি শেষ হওয়ায় গাদাগাদি করেও লঞ্চে উঠছেন তারা।
ইলিশা লঞ্চঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, কর্মস্থলে ফেরা মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে তারা লঞ্চঘাটে অভিযান পরিচালনা করছেন। এ সময় লঞ্চগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই, সি সার্ভে সনদ, মাস্টারদের পোশাক, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, লাইফ জ্যাকেট, পরিবেশ দূষণ ইত্যাদি বিষয় মনিটরিং করা হয়। এছাড়াও মেঘনা নদীর ডেঞ্জার জোনে ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সি-সার্ভে সনদবিহীন নৌযান চলাচল না করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করা হয়।