বরিশাল নগরীর সুপরিচিত বিনোদন স্পট ত্রিশ গোডাউন বধ্যভূমি সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পাড়। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত অসংখ্য পর্যটক আসে এই বিনোদন স্পটটিতে। যাদের মধ্যে একাংশ শিক্ষার্থী ও প্রেমিক যুগল। তারা নির্জনে সময় কাটানোর জন্য বেছে নেয় নৌকা ভ্রমণ। জোড়া বেঁধে নদীর বুকে ঘুরে বেড়ায় তারা। বিকেলে সবাই আসে মুক্ত বাতাসের খোঁজে। তবে সন্ধ্যা নামলে নৌকায় প্রেমিক যুগলের অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ রয়েছে বিস্তর। এছাড়া মাদকেরও একটি বিস্তার রয়েছে এই স্পটটিতে। প্রশাসন একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরও সন্ধ্যার পরে অবাধে চলে এসব নৌকা ভ্রমণ। এতে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এখানে নৌকা ভ্রমণ বেশ জমজমাট। ঘন্টা প্রতি ৪শ থেকে ৫শ টাকায় ভাড়ায় পাওয়া যায় এসব নৌকা। তবে প্রেমিক জুটি থাকলে বেড়ে যায় এই নৌকার ভাড়া। তখন ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকাও নেওয়া হয় ভাড়া। নৌকায় করে দুপুর থেকে প্রায়ই সন্ধ্যা এমনকি রাত পর্যন্ত ঘুরতে থাকেন প্রেমিক যুগলরা। এ সব নৌকায় বিভিন্ন সময় নাচ-গানের আসর জমে।
আর এই প্রেমিক যুগলদের নৌকায় ঘুরিয়ে থাকেন ডজনখানেক মাঝি। অনেক মাঝির স্বচ্ছলতা এনে দিয়েছে কীর্তনখোলা নদী পাড়ের ত্রিশ গোডাউন। নৌকা বেয়ে যা আয় করেন তা দিয়ে ভালোভাবেই তাদের সংসার চলে যায়।
এখানকার মাঝিরা জানায়, আগে তারা চরকাউয়া খেয়া ঘাটে যাত্রী পারাপার করতেন। তবে যাত্রী পারাপার থেকে বেশি আয় হয় না। এখানে বেড়াতে আসা লোকজন ঘণ্টা চুক্তিতে নদীতে ঘোরে। এতে ভালো পয়সা পাওয়া যায়। তারা আরও জানান, প্রতিদিন নৌকা বেয়ে ৮শ’ হাজার থেকে ১ হাজার টাকা আয় করেন। উৎসবের দিনে আয় ২ হাজার টাকাও ছাড়িয়ে যায়।
তবে নৌকায় করে ঘুরে বেড়ানোর ছুতোয় মাদক সেবনের হার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মাদক সেবনের জন্য নিরাপদ জায়গা এখন ত্রিশ গোডাউনের নৌ-ভ্রমণ। তাই ঘুরতে আসা একাধিক লোক বলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি না দিলে অচিরেই ভয়ংকর রুপ নিবে ত্রিশ গোডাউন এলাকা।
এ সকল বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) ফজলুল করিম বলেন, ত্রিশ গোডাউন এলাকায় আমাদের টহল প্রতিনিয়ত কাজ করছে। আর এ বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা, খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’’