ভূয়া ঋণের অস্তিত্ব নেই বরিশাল সদর শাখায়-ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হামিদা।। তুলির বিরুদ্ধে ‘ভূয়া ঋণের ‘ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা;ভূয়া ঋণের অস্তিত্ব নেই- সদর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হামিদা বেগম।
স্টাফ রিপোর্টার- হঠাৎ করেই পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক বরিশাল সদর শাখার সাবেক ব্রাঞ্চ ম্যানেজার জিন্নাত জাহান তুলির বিরুদ্ধে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের কথিত ‘ভূয়া ঋণ’এর মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে বিভাগীয় মকদ্দমা শুরু হওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়।
- আরো পড়ুন:বৈধপথে ইউরোপে প্রবেশে যে ভিসা দরকার
- আরো পড়ুন: পর্তুগালে গেলেই কি নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে?
- আরো পড়ুন: ইউরোপের যে ৬ টি দেশে ভিসা পাওয়া সহজ
সংশ্লিদের বুঝতে বাকি থাকেনা যে,জিন্নাত জাহান তুলির সাবেক স্বামী একাধিক ফৌজদারি মামলার আসামী এবং বর্তমানে দুর্নীতির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মাহবুবুল কবির নান্নু এর অনুঘটক। রীতিমত কেঁচো খুরতে সাপ বেড়িয়ে এসেছে ‘ভূয়া ঋণ’এর অনুসন্ধানে।
অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসা তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, মাহবুবুল কবির নান্নু একজন দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারি কর্মকর্তা। নিজের পদের ক্ষমতার অবৈধভাবে অপপ্রয়োগ করে তিনি কামিয়েছেন কোটি টাকা।
আবার একইসাথে নারী কেলেঙ্কারিতে স্ত্রীর বাধার ঘটনায় ফাটিয়েছেন স্ত্রীর মাথা। যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলায় খেটেছেন জেল বহুদিন। এছাড়াও গৃহ ঋণ নিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন ৫০ লক্ষ টাকা।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক‘র স্টাফ তুলি কর্তৃক টাকা আত্মসাৎ…
এতকিছুর পরেও প্রবাসীর বৌকে পরকীয়া করে বিয়ের ঘটনায় জড়িয়েছেন তিনি;সেখানেও টাকাপয়সা আত্মসাৎ এর মামলা প্রাপ্ত হন, জালজালিয়াতির চরমে পৌছেন তিনি। প্রবাসী ভুক্তভোগী আমিনুল যখন মাহবুবুল কবিরের বিরুদ্ধে মামলা করেন এরপরই শুরু হয় মূল ঘটনার উৎপত্তি।
এই সেই মাহবুবুল কবির নান্নু,যিনি বরিশালে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সদর শাখার সাবেক ব্রাঞ্চ ম্যানেজার জিন্নাত জাহান তুলির সাবেক স্বামী।জিন্নাত জাহান তুলিকে নান্নু ডিভোর্স দেন প্রবাসী আমিনুলের সাবেক স্ত্রী হ্যাপিকে বিয়ের জন্য।
এরপর জিন্নাত জাহান তুলি ও নান্নু দুজনেই মুখ খুলতে থাকেন দুজনের বিরুদ্ধে।এরই রেষারেষিতে মাহবুবুল কবির নান্নু পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের উর্ধতন একজন কর্মকর্তার সহায়তায় হঠাৎ করেই পুরনো কাসুন্দি ঘাটার কাজ শুরু করেন।যদিও তাতে বেশী সুবিধা করতে পারেননি নান্নু।
শুরু হয় ব্যাংকের বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া। এতে ভূয়া ঋণ উত্তোলন করে টাকা আত্মসাৎ সহ লঘুদণ্ড সমপর্যায়ের কিছু অভিযোগ তোলে কতৃপক্ষ।
এতে বলা হয়, তৎকালীন বরিশাল সদর শাখার কর্মকর্তা জিন্নাত জাহান তুলি ৮,৪৫,৫৩৯ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এরপর তথ্য প্রমাণ ঘেটে জানা যায়, তৎকালীন সময়ে যেকয়টি বইয়ের কথা উল্লেখ করে কথিত ভূয়া ঋণ বলা হয়েছে, তার সব কটি ঋণই পরিশোধ করে দিয়েছেন ঋণ গ্রহীতারা।
যেহেতু ঋণ সঠিক নিয়মে উত্তোলন, বিতরণ, ও আদায় হয়েছে সেহেতু ভূয়া ঋণের কোন অস্তিত্ব নেই বলে জানিয়েছেন বর্তমান ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হামিদা বেগম। এছাড়াও একইভাবে অনুসন্ধানে আরও কয়েকটি বিভাগীয় মকদ্দমার কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে এরকম নজির বহু রয়েছে তাতে।
এ বিষয়ে বরিশাল সদর শাখার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার বলেন ‘ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার এটি দেশবাসীর জন্য। সেখানে এরকম দুর্নীতি বা অনিয়ম করাটাও এতটাই সহজ না।সাবেক ব্রাঞ্চ ম্যানেজার জিন্নাত জাহান তুলির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের মূল কারন তার পারিবারিক কোন্দল।
- আরো পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইলের প্রতিষ্ঠানে হ্যাকারদের হামলা
- আরো পড়ুন: শিক্ষা ভিসার আবেদন নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- আরো পড়ুন: আমেরিকা যাওয়ার সহজ ৮ উপায়
আর আরেকটি বড় ইস্যু হচ্ছে আমাদের দাবী আদায়ের লক্ষে করা আন্দোলন, যা মহামান্য হাইকোর্ট থেকে রায় প্রাপ্ত। এই আন্দোলনের কারনে আমরা একটা গোষ্ঠীর মত চিন্হিত হয়ে বিভিন্ন হয়রানির শিকার হচ্ছি।তুলির ঘটনাও একই মনে করি আমি।এই উপজেলাতে আমি ভূয়া কোন ঋণের অস্তিত্ব পাইনি। অভিযুক্ত সাবেক ব্রাঞ্চ ম্যানেজার উত্তর দেয়ার সকল প্রক্রিয়া প্রায় শেষ করেছেন হয়ত। বাকিরা উত্তর দিয়েছেন বলে জানি।’
ভুয়া ঋনের বিষয়ে জিন্নাত জাহান তুলি বলেন, অামি কোন টাকা অাত্মসাৎ করিনি। অামার কর্মকালীন সময়ে বরিশালে সদরে কোন ভূয়া ঋন বিতরণ হয়নি। অভিযোগকৃত খেলাপী ঋনের সব টাকা অডিটের পরবর্তী সময়ে পরিশোধও হয়ে গেছে ব্রাঞ্চে। তাহলে ভুয়া ঋন হলো কিভাবে? বাকিটা কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।