মৃদু তাপদাহ বিরাজ করছে বরিশালে। শনিবার বরিশালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৯.০ ডিগ্রিী সেলসিয়াস। তীব্র তাপদাহে অতীষ্ট প্রাণীকূল। বিশেষ করে দৈনিক খেটে খাওয়া দিনমজুররা পড়েছেন বিপাকে। আগামী এক সপ্তাহ এই অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন তারা।
গত কয়েকদিনের তাপপ্রবাহে বরিশালের জনজীবন বিপন্ন। দিনের বেলা সূর্যের তাপে অতীষ্ট প্রানীকূল। অতি প্রয়োজন ছাড়া প্রখর রোদ মাথায় নিয়ে ঘরের বাইরে বের হতে চান না সাধারণ মানুষ। পেটের দায়ে কাজে নেমে হাঁসফাঁস অবস্থা দিনমজুরদের। রিক্সাচালক আবুল হোসেন বলেন, রদ্দুরে গাড়ি চালাইতে পারতে আছি না।
২০-৩০ টাহার ভাড়া খাইট্টা ছাওয়ায় (ছায়া) বইয়া থাহি কি করমু। কাঠুরে লোকমান মিয়া বলেন, গরমে কাজকাম করতে পারি না। ৬টা কোপ দেলে হেরপর থাহালাগে বইয়া। আগে মাল কাটতাম (লাকড়ি) ১০ থেকে ১৫ মণ। এহন ৫-৬ মনের বেশী কাটতে পারেন না। বৃদ্ধ রহম আলী বলেন, বাইরে নামলে ছাতি মাথায় দিয়া হাটি।
গাছতলায় গাছতলায় থাহি। গরমে টেকতে পারি না। মনে হয় জানডা বাইরাইয়া গেলো। অপরদিকে নগরীর মুক্তিযোদ্ধা পার্ক সংলগ্ম কির্তনখোলা নদীতে দুরান্ত শিশুরা সহ বৃদ্ধরা নদীতে নেমে ঞন্টার পর ঘন্টা সময় ধরে গোসলের নামে শরীরটাকে শিতল করার চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
এছাড়া পার্কে যারা একটু শিতল হতে এসেছে তারাও বেঞ্চে বসে সময় পাড় করছে আবার কেহ কেহ ঘুমিয়ে শরীররকে শিতল করছে। এদিকে একটি বেসরকারী সংগঠনের পক্ষ থেকে নগরের পথচারীদের মাঝে স্যালাইনযুক্ত ঠান্ডা পানি সরবরাহের মাধ্যমে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো.মাযহারুল ইসলাম জানান, গত বছরের চেয়ে এবার অন্তত ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেড়েছে। বর্তমানে মৃদু তাপ প্রবাহ চলছে। শনিবার বরিশালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৯.০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। আজ কিছুটা তাপমাত্রা কমে এসেছে রবিবার বেলা তিনটা পর্যন্ত ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স অব্যাহত রয়েছে। যা আগামী এক সপ্তাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন তিনি।