রাস্তায় বসবাস করা শিশুদের সবাই ডাকে পথশিশু বলে। আসলেই কি তারা পথশিশু ? উত্তর হলো না কারণ পথে কোন শিশুর জন্ম হয় না। পারিপার্শ্বিক অবস্থা অথবা ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে অনেক শিশু পিতা মাতাকে হারানোর সাথে সাথে ঘর বাড়ি হারিয়ে ফেলে। আর এই ঘর বাড়ি হারানো শিশুদের সমাজ উপাধি দিয়েছে পথশিশু।
দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করা এই শিশুদের প্রকৃত সংখ্যা আসলে কত। হয়তো সঠিক কোন তথ্য কারও কাছে জানা নাই। তবে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ‘চাইল্ড সেনসিটিভ সোশ্যাল প্রোটেকশন ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, দেশে এই শিশুদের সংখ্যা ৩৪ লাখ। শিক্ষা, বাসস্থান, স্বাস্থ্য, পুষ্টিকর খাবারের ঘাটতি আর নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে থাকতে হচ্ছে ওই শিশুদের।
এছাড়াও পারিবারিক অস্থিতিশীলতা, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে পরিবারগুলোর গ্রাম থেকে শহরে অভিবাসন শিশুদের পথে ঠেলে দিচ্ছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে এই পথশিশুর সংখ্যা। বরিশালে বসবাস করা সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের পাশে দাড়িয়েছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ সদস্যরা।
যার প্রধান ভূমিকায় রয়েছে এএসআই রুমা পারভীন। গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি নামের বেসরকারি একটি সংস্থা নিয়ে শিশুদের জন্য কাজ করছে এএসআই রুমা পারভীন। তার এই কাজের গতি বৃদ্ধি করতে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন সহকারী পুলিশ কমিশনার মো: নাফিছুর রহমান নাফিস।
এ বিষয় কোতোয়ালি মডেল থানার এএসআই রুমা পারভীন বলেন, আমি পথশিশু বলতে চাই না কারণ কথাটা পথশিশু নয়। তারা হলো সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শিশু। দীর্ঘদিন যাবত এই সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য আমি কাজ করার চেষ্টা করেছি।
বরিশালে পিতা মাতা ও ঘর বাড়িহীন প্রায় ৫০জন শিশু বসবাস করে। তাদের জীবন মান উন্নয়নে সকলের মানবিক সহায়তা নিয়ে পাশে থাকা উচিত। সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসে তাহলে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করা সম্ভব।