অস্ত্র ছাড়তে রাজি হামাস!

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস সশস্ত্র আন্দোলন থেকে সরে আসতে নিজেদের সম্মতির কথা জানিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে তাদের একটি শর্ত রয়েছে।

এক প্রতিবেদনে আনাদুলু এজেন্সি জানিয়েছে, হামাসের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে- তারা সশস্ত্র আন্দোলন থেকে সরে আসতে রাজি একটি শর্তে। সেটি হলো ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।

এই বার্তা হামাসের আগের বার্তা থেকে অনেকটাই নরম। কারণ গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস এতদিন ইসরায়েলকে ধ্বংস করার আহ্বান জানিয়ে আসছে।

হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর ইস্তাম্বুলভিত্তিক সদস্য বাসেম নাইম বৃহস্পতিবার সিএনএনকে বলেছেন যে, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে হামাস অস্ত্র ফেলে দেবে।

তিনি হামাসের সশস্ত্র শাখার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘যদি জেরুজালেমে রাজধানীসহ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের অধিকার সংরক্ষণ করে (তৈরি করা হয়) তাহলে আল কাসামকে (হামাসের সশস্ত্র যোদ্ধা) ফিলিস্তিনের জাতীয় সেনাবাহিনীতে একীভূত করা যেতে পারে।’

প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভের প্রেসিডেন্ট মোস্তফা বারঘৌতি বলেছেন যে, তিনি আগে হামাসকে অস্ত্র দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়ে অবগত ছিলেন না, তবে বলেছিলেন যে এটি সত্য হলে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।

হামাস নেতা বলেন, ফিলিস্তিনিরা দখলদারদের প্রতিরোধে অস্ত্র তুলে নিয়েছে। যদি দখলদার না থাকে তাহলে প্রতিরোধ করার প্রয়োজন হবে না।

জেরুজালেম ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড সিকিউরিটির প্রেসিডেন্ট এফ্রেইম ইনবার বলেছেন, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের তাদের পৈতৃক বাড়িতে ফিরে যাওয়ার দাবিটি ইসরায়েলে একটি নন-স্টার্টার হবে, কারণ এটি ইসরায়েল রাষ্ট্রের ধ্বংস হিসাবে পরিগণিত হবে। যেখানে ইহুদিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।

তিনি হামাসের প্রস্তাবকে পশ্চিমা দেশগুলোর লক্ষ্যে একটি জনসংযোগ স্টান্ট হিসাবে অভিহিত করেন।

বছরের পর বছর ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞ এবং বারবার ইসলামের ‍তৃতীয় পবিত্রতম স্থান আল আকসা মসজিদের অবমাননার জবাবে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

ইসরায়েল দাবি করে, হামাসের হামলায় ১২০০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া প্রায় আড়াইশ লোককে গাজায় জিম্মি করে নিয়ে গেছে হামাস সদস্যরা। নেতানিয়াহু সরকার হামাসকে নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলের নির্মম হামলায় ৩৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

Check Also

রাফায় ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ৯ জনের মৃত্যু

ফিলিস্তিনের রাফায় ইসরাইলি হামলায় একই পরিবারের ৯ সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে বেঁচে গেছে ওই পরিবারের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *