পটুয়াখালীর দুমকিতে ৮ মাস আগে ধর্ষণের ঘটনায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুলাল খন্দকার (৩৮) নামে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কাছে এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে বিচার চেয়ে আইনি সহায়তা চেয়েছে ওই ছাত্রী।
অভিযুক্ত দুলাল খন্দকার উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বারেক খন্দকারের ছেলে। তিনি তিন সন্তানের জনক। এ ঘটনা জানাজানি হলে গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরী জানায়, অভিযুক্ত দুলাল জাল বা টেঁটা দিয়ে মাছ ধরতে তাদের ঘরের কাছে এসে মোবাইলে সিনেমা চালু করে দিয়ে যেত এবং বিভিন্ন ছলছুতায় তাদের বাসার আশপাশে ঘুর ঘুর করত। গত শ্রাবণ মাসের ৩য় দিন হঠাৎ বৃষ্টি নামে এবং এ সময় কিশোরীর দাদি পাশের ঘরে পান আনতে যান। তাকে ঘরে একা পেয়ে দুলাল জোর করে চেপে ধরে ছবি তোলে ও বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে জানাতে চাইলে বাবা, দাদি, চাচা ও তাকে হত্যা করবে এমন হুমকি দিয়ে চলে যায়। ভয়ে কিশোরী এ নিয়ে কাউকে কিছু জানায়নি। অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি টের পেয়ে অভিযুক্ত দুলাল কিশোরীর গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। বর্তমানে ওই কিশোরী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
কিশোরীর বাবা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মেয়েটির মা নেই, ওর দাদি কানে শোনে না এবং চোখে দেখে না। আমি গাড়ি চালাই, বাইরে থাকি। এ সুযোগ নিয়ে দুলাল আমার মেয়ের যে ক্ষতি করেছে, তার উপযুক্ত বিচার চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জলিল হাওলাদার বলেন, ঘটনা লোক মারফত শুনে ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়েছিলাম। এর পর দুলালের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাইনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুমকি থানার ওসি তারেক মোহাম্মদ হান্নান জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।