ভোলার চরফ্যাশনের ৩২ বছর বয়সী যুবক মো. ফরিদ হোসেন। সব সময় পরনে থাকে পাঞ্জাবি আর মাথায় টুপি। যেন কোনো এক মাওলানা। তবে আসলে তিনি একজন প্রতারক। তার টার্গেট নারীরা। সংসারের সমস্যা এবং সন্তান না হওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেন যুবক মো. ফরিদ। এ জন্য গোপনে তথ্য নেন তিনি। যেখানে এসব সমস্যার খোঁজ পান সেখানে গিয়েই উপস্থিত হন ফরিদ। নারীদেরকে বিভিন্ন কৌশলে তার ফাঁদে ফেলেন। এরপর দামি স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা হাতিয়ে নেন।
গত কয়েক বছর ধরেই এমন প্রতারণা করে আসছেন যুবক মো. ফরিদ হোসেন। তিনি চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষন থানার মাদ্রাসা শিক্ষক রফিকুল ইসলামের ছেলে।তার বাড়ি চর কলমি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড।
লালমোহন থানার এসআই মো আউয়াল বলেন, রোববার রাতে গজারিয়া এলাকায় এক বাড়িতে গিয়ে নারীদের সঙ্গে প্রতারণার চেষ্টা করেন যুবক ফরিদ। পরে তার প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে ফরিদকে ধাওয়া করেন স্থানীয় লোকজন। এ সময় গজারিয়া বাজারে উপস্থিত থাকা পুলিশের একটি টিম তাকে আটক করে। আটকের পর যুবক ফরিদকে লালমোহন থানায় নেয়া হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে প্রতারণার কথা স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি এসএম মাহবুব উল আলম জানান, যুবক ফরিদ হোসেন একজন পেশাদার প্রতারক ও চোর। তিনি বিভিন্ন সময় নানা কৌশলে প্রতারণা করে আসছিলেন। রোববার রাতে এমনই এক প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সময় তাকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ফরিদের কাছ থেকে ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার ও একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চুরি ও প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যুবক ফরিদ হোসেনকে আদালতে পাঠানো হবে। তার বিরুদ্ধে আমরা ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করব।