বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নের জামির বাড়ি গ্রামের সার্বজনীন রাধাগোবিন্দ সেবাশ্রম মন্দিরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।এতে বাধা দেওয়ায় সংরক্ষিত (১,২ ও ৩ নং ওয়াড ) মহিলা ইউপি সদস্য অঞ্জনা রানী বাড়ৈ সহ ৭জনকে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা। আহতদের উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৭ এপ্রিল সকাল ৭টায় হারতার জামির বাড়ি গ্রামের ভাঙ্গা কালবাটের উপরে কাঠ সরিয়ে ফেলেন প্রতিপক্ষের সূর্য মজুমদারসহ কয়েকজন। এ সময় সংরক্ষিত ইউপি সদস্যের পুত্র রতন বাড়ৈ বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে বাগ বিতন্ডের এক পর্যায়ে বীরেন ভাংরার এর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী অনিল মজুমদার , রঞ্জন মজুমদার ,অটল মজুমদার,সূর্য মজুমদার,নীলকান্ত নাটুয়া, মৌসুমী মজুমদার,ঊষা মজুমদারসহ ৮-১০ মিলে সংরক্ষিত ইউপি সদস্য অঞ্জনা রানী বড়ৈ (৫৫)এর উপর হামলা চালায়।
এতে বাধা দিতে গেলে হামলার শিকার হন তার স্বামী প্রমানন্দ বাড়ৈ, ছেলে রতন বাড়ৈ,মানিক বাড়ৈ,উজ্জ্বল বাড়ৈ, পুত্রবধু গীতা গাইন, বাতাসি বাড়ৈ সহ অনেকে। প্রত্যক্ষদর্শী উপেন হালদার জানান, সূর্য মজুমদার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে, ভাঙ্গা কালবাট থেকে জনগণের চলাচলের কাঠ ফেলে দেয়,এই সময় ইউপি সদস্য পুত্র রতন বাধা দিলে সূর্য সহ ৮-১০ জনের একটি দল এসে হামলা চালায়, তারা একপর্যায়ে দল বেধে এসে মন্দিরে হামলা করে ভাংচুর করে।
মন্দির ভাংচুর ও হামলার ঘটনায় সূর্য মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, মারামারির ঘটনা সত্য তবে,মন্দিরে ভাংচুর ও হামলার ঘটনা সত্য নয়। এ বিষয়ে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাফর আহমেদ জানান, ইউপি সদস্য অঞ্জনা রানীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।