বাবুগঞ্জের কেদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের অনিয়মের বিরুদ্ধে ৯ ইউপি সদস্যের অনাস্থা দেয়ার পর তদন্ত শুরু হওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
ইউপি সদস্যদের দাবি, বিভিন্ন সময় সরকার থেকে বরাদ্ধ দেয়া ত্রানের চাল ও টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন চেয়ারম্যান। তবে অভিযোগ মানতে নারাজ চেয়ারম্যান নূরে আলম। আর তদন্তে দুর্নীতি প্রমানিত হলে কোন ভাবেই ছাড় দেয়া হবেনা বলে হুশিয়ারী জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে স্থানীয় চেয়ারম্যানের বাহিনী ও মেম্বারদের মধ্যে মারামারির ঘটনাটি ঘটে।
সড়ক অবরোধ করেই শুরু হয় মারামারি-হাতাহাতি, এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল চোর বলে স্লোগান দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, বিভিন্ন সময় সরকার থেকে বরাদ্ধ দেয়া চাল ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে গত ১৮ মার্চ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ইউনিয়ন পরিষদের ৯ জন ইউপি সদস্য। ঘটনাটির তদন্ত করতে উপজেলা প্রশাসন থেকে কর্মকর্তা আসলে শুরু হয় হট্টগোল। পরে তা রূপ নেয় মারামারিতে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ভুক্তোভোগি ইউপি সদস্যরা জানান, ২০২১ সালের ২৩ জুলাই দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে সরকারের বরাদ্ধ দেয়া ত্রাণের চাল ও টাকা আত্মসাৎ করে আসছিলো কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করলেও কোন লাভ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত অভিযোগ দিয়েছেন ইউপি সদস্যগণ। তদন্তে পুরো দুর্নীতি বেরিয়ে আসবে বলেও দাবি তাদের।
তবে অভিযোগ মানতে নারাজ কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে আলম বেপারি। এমনকি মারামারিতে তার কোন বাহিনী অংশ নেয়নি বলেও দাবি তার।
চেয়ারম্যান নূরে আলম বেপারি বলেন, সরকারের কোন বরাদ্দ দিয়ে আমি কারো কাছ থেকে একটি পয়াসাও নেইনি। আমার ও আওয়ামী লীগের বদনাম করার জন্য একটি মহল উঠে পরে লেগেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা রহমানবলেন, তদন্তে চেয়ারম্যানের দুনীতি প্রমানিত হলে কোন ভাবেই ছাড় দেয়া হবেনা।
আর বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে জানিয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় বাবুগঞ্জ থানার ওসি এস এম মাকসুদ আলম।
উল্লেখ্য, নূরে আলম বেপারি এ নিয়ে কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান। এর আগে ২০২০ সালের ১৬ এপ্রিল র্যাব-৮ অভিযান চালিয়ে চেয়ারম্যান নূরে আলমের বাড়ি থেকে হতদরিদ্র জেলেদের জন্য বরাদ্ধকৃত ১৮৪ বস্তা চাল উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় বাবুগঞ্জ থানায় মামলা করেছিলো র্যাব-৮। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অন্যের জমি দখল করে ইট ভাটা নির্মানসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।