বাবুগঞ্জে ২পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ! নারী নির্যাতন> এম. লোকমান হোসাঈন ॥ বরিশাল বাবুগঞ্জে পুলিশ হেফাজতে নারী আসামীদের নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ নিয়েছেন আদালত।
পূর্ব প্রকাশিত সংবাদ: পুলিশ হেফাজতে বাবুগঞ্জের ৩ নারী আসামীকে বর্বর নির্যাতন!
নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন,২০১৩ এর ৪ (১) ধারায় কোনো ব্যক্তি তাকে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ করলে তার বিবৃতি রেকর্ড করে তাকে অনতিবিলম্বে রেজিস্টার্ড ডাক্তার দিয়ে পরীক্ষা করানোর বিধান বলে,
নির্যাতিত ভিকটিম ৩ নারীর জবানবন্দীর ভিত্তিতে বিষয়টি আমলে নিয়ে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নির্যাতনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন বিচারক।
পরে একই আইনের ৫(১) ধারায় উক্ত বিবৃতি-জবানবন্দী রেকর্ড করার পর বরিশাল পুলিশ সুপার বা তদূর্ধ্ব কোনো পুলিশ কর্মকর্তা কাছে প্রেরণ করে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মামলা দায়ের করার নির্দেশ প্রদান করেছেন বরিশাল বাবুগঞ্জ আমলী আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: নুরুল আমিন।
HSC | আহ্বান | বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় | বাংলা ১ম পত্র | PDF
মামলাটি একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কর্তৃক তদন্তের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ সুপার বরিশালকে নির্দেশ দেন। মামলা দায়ের করে (আগামীকাল সোমবার) ৩ দিনের মধ্যে এই আদেশ তামিল করার বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন বিচারক।
এছাড়া আদেশের অনুলিপি ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (ডিআইজি) বরিশাল, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ পুলিশ বরাবর প্রেরণ করেছেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত তিন মার্চ বরিশালের বাবুগঞ্জ থানাধীন দেহেরগতি গ্রামের রানী স্কুলের পশ্চিমপাশে মোল্লা বাড়িতে পিকনিক এ গান বাজানো কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসীন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল এসে সাউন্ড কমিয়ে গান শুনার অনুরোধ করেন,
এসময়ে পিকনিকে আগত স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের উপর হামলা করেন, যার প্রেক্ষিতে বেশ কিছু স্থানীয় শিশুসহ নারীদের গ্রেফতার করেন পুলিশ এবং বাবুগঞ্জ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন, যার মামলা নং-জি.আর:-১৫/০২৩।
তবে নির্যাতিত নারীরা দাবী করছেন, অহেতুক সাউন্ড বক্সগুলো পুলিশ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় স্থানীয়রা বাদা প্রদান করলে, পুলিশের সঙ্গে তর্কবির্তক হয়। পুলিশ অহেতুক তাদের গ্রেফতার করে শারীরিক নির্যাতন করেছেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
থানার সেকেন্ড অফিসার এএসআই (নি:) মো: নাসির উদ্দিন (বিপি নং-৮৮০৭১১০০৩১) ও নারী পুলিশ সদস্য নীপা বেগম। পুলিশ সদস্য কর্তৃক আসামীদের অমানবিক নির্যাতনের বেশ কিছু ছবি সহ তথ্য প্রমাণ আসে সময়ের বার্তা’র হাতে।
HSC | বহুনির্বাচনি | কমিউনিকেশন সিস্টেম এবং নেটওয়ার্কিং | PDF
যা গত ৬ মার্চ দৈনিক সময়ের বার্তায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, গত তিন মার্চ বরিশাল বাবুগঞ্জ থানাধীন দক্ষিণ দেহেরগতি গ্রামের রানী স্কুলের পশ্চিম পাশে মোল্লা বাড়িতে পিকনিক এ সাউন্ড নিয়ে জামেলা হয়েছে।
আসামী আকাশী বেগম জানান, পুলিশ নাসির উদ্দিন ও নারী পুলিশ সদস্য নিপা বেগম তার মাথায় জখম করেছেন, বাম হাতে ও নিতম্বে এবং কোমরে মারত্মক জখম করা করেছেন। রাশিদা বেগম জানান, তার কোমরে এবং নিতম্বে জখম করেছেন পুলিশ।
মালা আক্তার বলেন, তার কোমরে ও নিতম্বে এবং হাটুর নিচে মারাত্মক রকমের কালচে জখম সহ মারধরের দাগ রয়েছে। বরিশাল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ বিচার আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজুর রহমান এর আদালতে বিচারকের জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা বলেন আসামীরা।
HSC | বহুনির্বাচনি 1-60 | তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি | PDF
বিচারিক ক্ষমতা বলে, সিনিয়র জেল সুপার বরিশালকে উক্ত আসামীদের চিকিৎসার জন্য শের-ই-বাংলা- মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করে পরীক্ষার জন্য প্রদান করে আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে ইনজুরি সার্টিফিকেট প্রস্তুত করার নির্দেশ দেন।
উক্ত ইনজুরি সনদে ভিকটিম ৩জনের শরীরে একাধিক আঘাত রয়েছে। ভিকটিম ৩জনের জবানবন্দীতে প্রদত্ত আঘাতের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয় বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।