বরিশালের মুলাদীতে মাকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে পিটিয়ে ছেলের পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ সময় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বৃদ্ধ মা গুরুত্বর আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের মালেরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- টুমচর গ্রামের মৃত আইউব আলী হাওলাদারের ছেলে বাচ্চু হাওলাদার (৫০) ও তার মা আমেনা বেগম (৬৮)। তাঁরা বাটামারার আকন পক্ষের লোক।
পূর্বশত্রুতার জেরধরে একই এলাকার মন্টু ফকির ও রাসেল খানের নেতৃত্বে হাজী পক্ষের ৫-৬ জন পিটিয়ে ছেলের পা ভেঙে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন মা আমেনা বেগম। তবে মন্টু ফকির হামলার কথা অস্বীকার করেছেন।
আমনা বেগম জানান, ছেলের সঙ্গে মাদারীপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন। উপজেলার সীমান্তবর্তী মালেরহাট এলাকায় পৌছলে মন্টু ফকির ও রাসেল খানসহ ৫-৬জন লোক রামদা, লাঠিসোটা নিয়ে পথরোধ করে। তাঁরা কোনো কথা না বলেই বাচ্চুকে এলোপাথারি পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে পা ভেঙে দেয়। ছেলেকে রক্ষা করতে গেলে হামলাকারীরা তাঁকেও পিটিয়ে আহত করে।
মা-ছেলের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে মাদারীপুর জেলা হাসপাতালে পরে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে মন্টু ফকির বলেন, ‘জমি বিরোধ নিয়ে বাচ্চু হাওলাদারের সঙ্গে কথার কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়েছে। তিনি পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়ে থাকতে পারেন। তবে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়া হয়নি।’
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া বলেন, মা-ছেলের ওপর হামলার ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।