পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নে মাত্র সাড়ে ১৫ ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার এ ইউনিয়নের কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পূর্বশত্রুতার জের ধরে পিটিয়ে সৈয়দ রাসেল মীর (২২) নামের এক কলেজছাত্রকে হত্যা করছে প্রতিপক্ষের লোকজন। সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে পূর্বশত্রুতার জের ধরে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভৈরমপুর গ্রামে কুপিয়ে ও হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে সোহাগ শেখ (৩৩) নামে এক হত্যা মামলার আসামি ও যুবলীগ সমর্থককে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন।
নিহত রাসেল মীর পিরোজপুর পৌরসভার মুক্তারকাঠী এলাকার সৈয়দ ইদ্রিস মীরের ছেলে। তিনি পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
সম্প্রতি সদর উপজেলার কদমতলা গ্রামের রিয়াজুল নামের এক যুবককে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় রাসেল ও তার বন্ধুরা। এর জের ধরে রাসেলের ওপর প্রতিশোধ নিতে বিভিন্ন সময়ে রাসেলেকে অনুসরণ করে তারা। এ ঘটনায় তারা স্থানীয় ফারুকের শরণাপন্ন হয় বলে জানান প্রতিবেশীরা।
নিহতের স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরের পর রাসেল মীর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম বায়জীদ হোসেনের সঙ্গে তার বাড়িতে দেখা করে ফেরার পথে কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়কে এলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওতপেতে থাকা স্থানীয় মো. ফারুক ও গাঙ্গুয়া নামের দুজন পেছন থেকে লাঠিসোটা নিয়ে রাসেলের ওপর হামলা চালায়। এতে সে গুরুতর জখম হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রাসেলকে প্রথমে পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল ও পরে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় এবং অবস্থার অবনতি হলে রাত ১২টার দিকে রাসেল মীর মারা যায়।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. আসিকুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।