নিরপরাধ এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অপহরণের মিথ্যা মামলা করায় বাদী সিমা আক্তারকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও সিনিয়র জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খানের ট্রাইব্যুনালে সিমা আক্তার হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
সিমা আক্তার (২৭) বরগুনা সদর উপজেলার পাকুরগাছিয়া গ্রামের আবদুস সোবাহান মাস্টারের মেয়ে।
জানা যায়, সিমা আক্তার বাদী হয়ে ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঘটনা দেখিয়ে ওই ট্রাইব্যুনালে বরগুনা সদর উপজেলার কোটবাড়িয়া গ্রামের মানিক গাজির ছেলে ইউপি সদস্য মো. স্বপন গাজির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন।
অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর রাতে মো. স্বপন গাজি সিমা আক্তারকে ধর্ষণ করে। সিমা আক্তারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য স্বপন গাজি হুমকি দেয়। সিমা আক্তার মামলা তুলে না নেওয়ার কারণে ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সিমা আক্তারের শিশুসন্তানকে স্বপন গাজি অপহরণ করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা সিমা আক্তারের দায়ের করা ধর্ষণ মামলা ও অপহরণ মামলা দুটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন।
স্বপন গাজি বলেন, সিমা আক্তার আমার বিরুদ্ধে প্রথম ধর্ষণ মামলা করে। সেই মামলায় পুলিশ ফাইনাল রিপোর্ট দেয়। পরে আমি বাদী হয়ে সিমার বিরুদ্ধে ওই ট্রাইব্যুনালে মামলা করি। সিমা হাজির হয়ে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। এতে দুই মাস জেলহাজতে ছিলেন সিমা। আবার সিমার অপহরণ মামলায়ও পুলিশ ফাইনাল রিপোর্ট দেয়। আমি আবার সিমার বিরুদ্ধে ওই ট্রাইব্যুনালে মামলা করি। সিমা আমার বিরুদ্ধে দুটি মিথ্যা মামলা করে সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
সিমা আক্তার কোর্ট বারান্দায় বসে বলেন, আমার দুটি মামলার ঘটনাই সত্যি ছিল। আসামি প্রভাবশালী হওয়ার কারণে পুলিশ আমার পক্ষে রিপোর্ট দেয়নি।