স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশাল নগরীতে ১৩ বছরের কন্যাকে জোড়পূর্বক দেহ ব্যবসা করানো চেষ্টা করায় মা-বাবা সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেন মডেল থানার পুলিশ। ঘটনাটি নগরীর ১৫ নং ওয়ার্ড সার্কুলার রোড় গাজী বাড়ি মসজিদ এলাকাতে। গাজী বাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী (১৩) লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, মা নাসরিন বেগম, বাবা সামছু সিকদার এই দুইজন তার গর্ভধারিণী মা ও জন্মদাতা বাবা।
- আরো পড়ুন: সরকারের সাথে ডিসি অফিসের আজাদের বৈইমানী!
- আরো পড়ুন: ফেসেঁ যাচ্ছেন সিভিল সার্জন অফিসের সহকারী প্রধান সিরাজ
- আরো পড়ুন: বাংলা ব্যাকরণ সকল শ্রেণীর জন্য
বাবা-মা বাসায় বসে বিভিন্ন ধরনের মাদক ও নারী ব্যবসা করতো। তাদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় একাধিক মামলা আছে ও মামলায় গ্রেফতার হয়ে একাধিকবার জেল খেটেছে। বর্তমানে তাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করানোর জন্য প্রতিনিয়ত নির্যাতন ও অত্যাচার করে আসছেন। মহামারী করোনার সময় মা নাসরিন বেগম বিভিন্ন ছেলেদের ফোন নম্বার সংগ্রহ করে তাকে দিতে এবং মারধর করে জোরপূর্বক ছেলেদের সাথে কথা বলিয়ে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিত। জুন মাসে মা নাসরিন নগরীর মুনসুর কোয়াটার্সের সামনে মিম মধুঘর প্রতিষ্ঠানের মালিক আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের বাসায় নিয়ে আনোয়ারের সাথে একটি কক্ষে বন্দী করে পাশের রুমে চলে গেলে জোরপূর্বক শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেন আনোয়ার।
মেয়েটির দাবী গত জুন থেকে অক্টোবর মাসের শেষের দিক পর্যন্ত তার সাথে ১২৫ (একশত পচিশ) বার যৌন নির্যাতন করেছেন আনোয়ার। যার সরাসরি সহযোগিতা করেছেন বাবা-মা। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত কোতয়ালী থানার সাবেক ওসি তদন্ত আতাউর রহমান ও একই থানার বর্তমান এসআই সুমন। মেয়েটির দাবী উক্ত ঘটনা মেয়েটির বোনের কাছে জানালে বোন এবং বোনের স্বামীকে হাত পা ভেঙ্গে মাদকসহ জেলে দেওয়ার হুমকি দেন কোতয়ালী মডেল থানার সাবেক তদন্ত ওসি আতাউর রহমান যিনি বর্তমানে নলছিটি থানায় কর্মরত আছেন।
- আরো পড়ুন: বিচারক কামরুন্নাহারকে আদালতে না বসার নির্দেশ
- আরো পড়ুন: বিদেশে উচ্চশিক্ষাঃ কিভাবে শুরু করবেন জেনে নিন (A TO Z)
- আরো পড়ুন: লোক দেখানো ইবাদত আমল নষ্ট করে
ওসি আতাউর রহমান বিভিন্ন সময় যৌনত্তেজকমূলক কথাও বলতেন মেয়েটির সাথে। ওসি আতাউরের মত একই ভাবে এসআই সুমনও কথা বলতেন। সর্বশেষ অক্টোবর মাসের শেষের দিকে আনোয়ার হোসেন তাহার বাসায় নিয়ে যৌনত্তেজকসহ জোড়পূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা ঘটনা ঘটলে বিষয়টি স্থানীয়সহ বোন জানালে মা ঘরের ভিতর আটকিয়ে রাখেন।
গতকাল কোনভাবে বিকালে ঘর থেকে পালিয়ে বরিশাল পুলিশ কমিশনারের সাথে দেখা করে বিস্তারিত জানালে পুলিশ কমিশনার দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশের প্রেক্ষিতে কোতয়ালী থানা পুলিশ বাবা-মাসহ আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে কোতয়ালী মডেল থানায় নেন। মডেল থানার ইর্নচাজ নুরুল ইসলাম সময়ের বার্তাকে জানান, মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে বাবা-মা সহ ৩জনকে আসামী করে আজ বরিশাল আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।