বরিশাল- কুয়াকাটা মহাসড়কটি একটি ব্যস্ততম সড়ক। এই সড়ক থেকে প্রতিনিয়ত হাজারও যানবাহন চলাচল করে। এর মধ্যে ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকটি দিন। প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এই সড়ক থেকে যানবাহনে যাতায়াত করবে লাখো মানুষ। এতে সৃষ্টি হতে পারে যানজটের।
মহাসড়কের দু পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা এর কারন বলে জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। মঙ্গলবার ( ১৯ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে গিয়ে এমনি চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। দেখা যায়, টং দোকান, চা স্টল, খাবার হোটেল, কাপড়ের দোকান, কাঁচাবাজারসহ অন্যান্য পণ্য সামগ্রীর দোকান।
- আরো পড়ুন: শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি
- আরো পড়ুন: বিজনেস লোন পাওয়ার নিময়
- আরো পড়ুন: বিকাশ থেকে লোন পাবেন যেভাবে
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক মহানগর ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমান মামুন মোল্লা সড়ক ও জনপদের জমি দখল করে ঐ অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছে। বিনিময়ে ছোট-বড় ব্যবসায়িদের কাছ থেকে প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা তুলছেন।
তার বড় ভাই স্থানীয় কাউন্সিলর ও মেজ ভাই মহানগর আ’লীগের পদে থাকায় তাদের ক্ষমতার প্রভাবে ঐ অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করচ্ছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা মামুন মোল্লা। তবে এ অভিযোগ অস্বিকার করেছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা মামুন মোল্লা। তিনি বলেন, সরকারী কোন জমি তার দখলে নেই। অবৈধ স্থাপনা থেকে কোন চাঁদাবাজি করা হচ্ছে না। একটি মহল এ অপ্রচার চালাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ি জানায়, দখলদাকারি এতটাই শক্তিশালী যে তার কারণে মানুষের জীবন গেলেও তাদের স্পর্শ করার সুযোগ নেই। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে সরকারের একের পর এক উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখলেও ক্রমেই গতিহীন হয়ে পড়ছে এ মহাসড়কটি। মহাসড়কের জায়গা দখল করে ব্যবহারের ফলে এ মহাসড়কেই লেগে থাকছে যানজট।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলেন, দিনে দিনে এ সমস্যা বাড়ছেই। মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনাই এই সমস্যার প্রধান কারণ বলে মনে করছেন তারা। প্রায় কয়েক কিলোমিটার মহাসড়কে কমবেশি অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। রীতিমতো দখলের মহোৎসব চলছে মহাসড়কের দু’পাশজুড়ে।
নির্মাণ করা হয়েছে স্থায়ী ও অস্থায়ী উভয় ধরনের কাঠামো। তবে অস্থায়ী স্থাপনাই বেশি। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতারাই এই দখলবাজির সঙ্গে যুক্ত। দিন দিন দখলের মাত্রা বাড়লেও সড়ক ও জনপথ অধিদফতর থেকে নেয়া হয় না কোন জোরালো পদক্ষেপ ।
তারা বলেন, বছরে মাত্র দুই বার ঈদের আগে ঘরমুখো যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কগুলোর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়। ঈদ শেষে আবার আগের অবস্থা ফিরে আসে। বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী, কোনো সড়ক বা মহাসড়কের ৩০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। সরকারি বিধানেও তা উল্লেখ রয়েছে। তবে এটা শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ।
জানা গেছে,বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের দু’পাশে দোকানপাট গড়ে ওঠা, রাস্তার পাশে গাড়ি পার্কিং, মানুষের চলাচল, ছোট বড় গাড়ির অবাধ চলাচল, বিভিন্ন জায়গায় ঘন ঘন বাস স্টপেজের কারণে ধীর গতি ও যানজটে পড়তে হচ্ছে দূরপাল্লার পরিবহনকে। এসব কারণে মেজাজ হারাচ্ছে মহাসড়কটি। মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনার কারণেই দিন যতো যাচ্ছে যানজট ততো বাড়ছে।
- আরো পড়ুন: ইউরোপের কোনদেশে যেতে বা পড়াশুনায় কত
- আরো পড়ুন: পোল্যান্ডের সেরা ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের লিংক
- আরো পড়ুন: ই-কমার্স ব্যবসায়ী হতে যায় করবেন
রুপাতলীতে দায়িত্বে থাকা পুলিশের কর্তব্যরত এক সদস্য জানান, সবজি বোঝাই ট্রাক নিয়ে এ সড়ক থেকে চলাচল করার সময় দু’এক মিনিটের জন্য রাস্তা বন্ধ হলেই বাস ট্রাক, প্রাইভেটকারসহ শত শত গাড়ি রং সাইডে (উল্টোপথ) দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে করে দু’দিক থেকেই রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। যা যানজট পরিস্থিতিকে বেসামাল করে তোলে। এছাড়াও অবৈধ স্থাপনার কারনে দুর্ঘটনাকবলিত বা আটকেপড়া গাড়ি সরানোর জন্য ঘটনাস্থলে রেকার দ্রুত পৌঁছানো সম্ভব হয় না।
রাস্তার উপর রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, বাস, মিনিবাস, পার্কিং করা থাকে। এতে দ্রুতগামী গাড়িগুলো আটকা পড়ে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে বরিশাল সড়ক-জনপদের নিবার্হী প্রকৌশলী মো. মাসুদ মাহামুদ সুমনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া এলও তিনি রিসিভ করেননি।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।