লালমোহনে জালিয়াতি করে জমি দখলের চেষ্টা
লালমোহনে জালিয়াতি করে জমি দখলের চেষ্টা

লালমোহনে জালিয়াতি করে জমি দখলের চেষ্টা

লালমোহনে জালিয়াতি করে জমি দখলের চেষ্টা ॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥ ক্ষমতার অপব্যবহার করে জালজলিয়াতির মাধ্যমে অন্যের জমি দখলে চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি জমি দখলের জন্য মিথ্যা হামলার নাটক সাজিয়ে মামলা দিয়ে হয়রানি সহ তথ্যপ্রমান ছাড়া বাড়িতে বসে গোপনে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিপক্ষকে গায়েল করার চেষ্টা করা হচ্ছে জমির প্রকৃত মালিকদের।

ভোলা লালমোহনের ভূক্তভোগী এক পরিবারের দাবী, স্বৈরচার হাসিনার কথিত ছাত্রলীগ পুলিশী ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোরপূবর্ক অন্যর জমি দখলকারীরা ফের বেপোয়ারা হয়েছে উঠেছে ভোলার লালমোহন এলাকার বাসীন্দা ও পুলিশ সদস্য আমির বাহিনী। আমীর হোসেন বরিশালে পুলিশের বর্তমানে এ এসআই পদে চাকরী করলেও এলাকায় পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মর্কা দাবী করে ভূক্তভোগী পরিবারকে হয়রানি করে আসছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিগত দিন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন পুলিশের ক্ষমতা দেখিয়ে একই এলাকার বাসীন্দা জুলফিকার আলী ভুট্টো ও মো: জাকির হোসেন গংদের প্রায় কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি দখল নেন। কাগজপত্র সঠিক থাকার পরেও
দীর্ঘদিন যাবত নিজেদের প্রায় ৫০ শতাংশ জমির অধিকাংশ ভোগদখল করতে পারেননি জমির প্রকৃত মালিকরা।

গোপনে জালিয়াতি করে কাগজপত্র তৈরী করে নি¤œ আদালত থেকে একটি রায় করে নেন প্রতিপক্ষরা। পরে জালজালিয়াতির মাধ্যমে দলিল তৈরী করে জমি দখলের জন্য চেষ্টা করা হলে ভোলা জেলার অতিরিক্ত জেলা জজ ও ২য় আদালত এর বিচারক আলী মনসুর প্রকৃত জমির মালিক ও আপীলকারীগংদের পক্ষে রায় দেন। ৪ জুলাই রায় পাওয়ার পর নিজের সম্পত্তিতে দোকান ঘর নির্মান করতে গেলে স্থানীয় আওয়ামীলীগের ক্যাডার বাহিনী ও পুলিশ দিয়ে যবর দখল করে রাখেন পুলিশ সদস্য আমির হোসেনের পরিবার দেলোয়ার হোসেন গংরা।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরচার সরকার শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগ সহ আওয়ামীলীগের ক্যাডার বাহিনীরা এলাকা ছাড়ার পর আদালতের রায়ের মাধ্যমে নিজেদের জমিতে দোকান ঘর নির্মানের সময়ে জুলফিকার আলী ভূট্টো গংদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে এক চাটিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন এবং হামলার নাটক সাজিয়ে নানা ভাবে হয়রানি করে আসছেন।

জালজালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের প্রায় কোটি টাকার জমি দখল করার চেষ্টা করা হলে, ভোলার অতিরিক্ত জেলা জজ ২য় আদালতের মাধ্যমে ফিরে পেলেন প্রকৃত জমির মালিকগণ তাদের জমি।

লালমোহনে জালিয়াতি করে জমি দখলের চেষ্টা

নতুন করিকুলাম || অষ্টম শ্রেণির বাংলা অধ্যায় ২ নজরে ‘রেলের পথ

২০১৯ সালে ভোলা সিনিয়র সহকারী জজ,লালমোহন আদালতে নিজেদের পক্ষে গোপনে রায় করে জমি দখলের চেষ্টা করেন, ভোলা লালমোহন চরভূতা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড হরিগঞ্জ তারাগঞ্জ বাহাদুর চৌমুহনী এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন গংরা। যার দেওয়ানী মামলা নং-২৪০/২০১৯। উল্লেখিত দেওয়ানী মামলার রায়ের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে আপীল করেন ভুক্তভোগী পরিবার মরহুম খোরশেদ আলম হাওলাদারের ছেলে হাজী আবুল কালাম হাওলাদার,মহাসিন হাওলাদার ও শফিকুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে জুলফিকার আলী ভূট্টো ও মো: ইমরান হাওলাদার গংরা। যার মিস আপীল নং-১৩/২০২২।

মামলার বিবাদী ছিলেন, নুরুল ইসলাম কারী, নুরুল ইসলাম কারীর ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন কারী, তোফাজ্জেল হোসেন এর ছেলে মো: মুমিন ও সুমেজ, মামুন, সিরাজুল ইসলাম এর ছেলে নুমান ও যোবায়ের। জালাল আহমেদ এর ছেলে আলী আজগর ও আবুল কাশেম। হিম্মত আলীর ছেলে জালাল আহমেদ ও দেলোয়ার হোসেন, সবার ঠিকানা হরিগঞ্জ ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড। আদালত উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে চলতি বছরের ৪ জুলাই আপীলকারীর পক্ষে রায় দেন। রায় পেয়ে নিজেদের সম্পত্তিতে দোকান ঘর নির্মান করার সময়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের ক্যাডার বাহীনি ও পুলিশ দিয়ে নানা ভাবে হয়রানি করেন দেলোয়ার গংরা।

লালমোহনে জালিয়াতি করে জমি দখলের চেষ্টা

পরে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর নিজের জমিতে দোকান ঘর নির্মান কালে ফের নানা ভাবে হয়রানি করা শুরু করেন। আওয়ামীলীগের দালাল খ্যাত অসাধু কয়েকটি মিডিয়ার মাধ্যমে একতরফা মনগড়া মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে আসছে কতিপয় ভূমিদস্যূরা। আপীলকারীর রায়ের কপিতে দেখা যায়, বিচারক উভয়ের যুক্তিতর্ক শেষে, বিবেচ্য বিষয় সমূহ নিয়ে পর্যালোচনা করেন,

বিজ্ঞ লালমোহন সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, ভোলা কর্তৃক প্রদত্ত দেওয়ানী-২৪০/২০১৯ মোকদ্দমার বিগত ০৩ এপ্রিল-২০২২ ইং তারিখের তর্কিত আদেশ আইন ও ঘটনাগত দিক থেকে যথাযথ কি-না? এবং বাদী/আপীলকারীপক্ষ প্রার্থীত প্রতিকার পাইতে পারে কি-না? পরে আলোচনা, অভিমত ও সিদ্ধান্ত দেন যে, পরস্পর সম্পর্কযুক্ত হওয়ায় আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহনের জন্য একত্রে লওয়া হইল। মিস আপীলের মেমো,

মিস আপীল সংক্রান্ত দেওয়ানী-২৪০/২০১৯ মোকদ্দমার আরজি, অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত, আপত্তি ও বিগত ০৩ এপ্রিল-২০২২ ইং তারিখের দেওয়ানী-২৪০/২০১৯ মোকদ্দমার তর্কিত আদেশসহ সমগ্র নথি পর্যালোচনা করেন। পর্যালোচনায় দেখা যায়, বাদীপক্ষ বিগত ০৩ নভেম্বর-২০১৯ ইং তারিখে হলফনামাযুক্ত দেয় কাঃ বিধির ৩৯ আদেশের ১/২কল এবং ১৫১ ধারার বিধান মতে ১,২,৫,১২ ও ১৩ নং বিবাদীগনের বিরুদ্ধে ও বিগত ০৮ ডিসেম্বর-২০২০ইং তারিখে ৬,৭ ও ৮নং বিবাদীদের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ পাওয়ার দাবীতে পৃথক দুটি দরখাস্ত দাখিল করেন। উক্ত দরখাস্তের বিরুদ্ধে ৬,৭ ও ৮ নং বিবাদী আপত্তি দাখিল করেন নাই। তবে নথি দৃষ্টে দেখা যায়, ১,২,৫,১১,১২ ও ১৩ নং বিবাদীপক্ষ আপত্তি দাখিল করেন।

বিজ্ঞ বিচারিক আদালতের বিগত ০৩ এপ্রিল-২০২২ইং তারিখের তর্কিত আদেশ পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিজ্ঞ বিচারক ১-৪নং বিবাদীর বিরুদ্ধে দো-তরফাসূত্রে ও অপরাপর বিবাদীদের বিরুদ্ধে একতরফাসূত্রে বিনা খরচায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত না-মঞ্জুর করেন। পর্যালোচনায় আরো দেখা যায়, বিজ্ঞ বিচারক তার তর্কিত আদেশে আরো লিখেছেন।

“”As such I am opined that the plaintiff has no possibility to suffer irreparable loss besides that balance of convenience and inconvenience are not in favor of the defendants.
সার্বিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, বাদী যাদের বিরুদ্ধে প্রতিকার দাবী করেন নাই অর্থাৎ ২/৩ নং বিবাদীদের বিরুদ্ধেও দো-তরফাসূত্রে আদেশ প্রচার করায় তর্কিত আদেশটি যেন তেন ভাবেই দেওয়া হয়েছে মর্মে আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয়।

এছাড়া বিজ্ঞ বিচারিত আদালতের তর্কিত আদেশটি পর্যালোচনায় আরো দেখা যায়, তিনি বলেছেন বাদীর দাখিলী অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তের প্রাইমা ফেইসী কেইস নাই কিন্তু কি কারনে প্রাইমা ফেইসী কেইস নাই তদমর্মে কোন ব্যাখ্যা তাহার আদেশে নাই। এছাড়া আদেশটিতে তিনি আরো বলেছেন, Balance of convenience and inconvenience are not in favor of the defendants, , কিন্তু তাহার এই বক্তব্যে সমর্থনে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ তর্কিত আদেশটিতে লক্ষ্য করা যায় না।

সার্বিক বিবেচনায় তর্কিত আদেশটি বহাল রাখার যুক্তি গ্রাহ্য কোন কারণ দেখেন না আদালত। এখন দেখা যায়, বাদীপক্ষ অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত সমর্থনে প্রাইমা ফেইসী ফেইস আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন কিনা?

পুবেই অংলারণা করা হয়েছে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞায় দরখাস্তের (ক) অপছিল সংশ্লিষ্ট ভূমি সম্পর্কে আসামীপক্ষ নজা দ্বিবএদের ডিক্রির ব্যার্থনায় মূল মোকদ্ৎমাটি আনয়ন করিয়া দামী রিয়াছেন বাদী খরিদ ৫০ শতাংশ ভূমি আপোষ বণ্টন মতে এস,এ ৬২৮ না খতিয়ানের ২৩০৭ দাগে সুনিদিষ্ট চৌহদ্দি মধ্যে ভোগ দখলে নিয়ত আছেন। উক্ত ভূমি যথা বাদীগনের ২টি ঘরের ১১টি কক্ষ দোকান হিসাবে ভাড়াটিয়ার মাধ্যমে ভোগ দখল করিতেছেন।

লালমোহনে জালিয়াতি করে জমি দখলের চেষ্টা

দাঁত ও দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখতে চাইলে যেসব কাজ গুলো করা জরুরী

এছাড়া উক্ত চৌহদ্দি মধ্যে ১টি ছোট পুকুর ও একটি পাকা ফাউন্ডেশন বিদ্যমান আছে। নথি সংশ্লিষ্ট স্থানীয় পরিদর্শন প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিরোধীয় ভূমিতে ০৮ (আট) খানা দোকান ঘর বিদ্যমান আছে। দোকানের পিছনে ০১ (এক) টি বেকারী ফ্যাক্টরি বিদ্যমান আছে এবং উক্ত ফ্যাক্টরির সাথে ১ চালা টিনের ঘর বিশিষ্ট ঘর বিদ্যমান আছে এবং উক্ত বসত ঘরের সাথে একটি ছোট রান্না ঘর আছে। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার তপছিল বণিত ভূমি হইতে বাদীগনকে বেদখল না করার জন্যে কিংবা শান্তিপূর্ণ রয়েছে। ভোগ দখলে বিঘœ সৃষ্টি না করার জন্যে বিবাদীদের নিষেধ করে আপীলকারীর অনূকূলে মামলাটি নিস্পত্তি করে দেন বিজ্ঞ বিচারক আলী মনসুর।

বিচারক এই মর্মে আদেশ দেন যে, অত্র মিস আপীল ১৩/২০২২ নং মোকদ্দমাটি বাদী/আপিলকারী ও ১,২,৫,১২ ও ১৩ বিবাদী/প্রতিপক্ষ এর মধ্যে দো-ভরফাসূত্রে ও ৬,৭ ও ৮নং বিবাদীদের বিরুদ্ধে একতরফা সূত্রে বিনা খরচায় মঞ্জুর করা হল। তদমতে বিজ্ঞ বিচারিক আদালতের ১৩/২০২২নং মোকদ্দমা সংক্রান্তে বিগত ০৩ এপ্রিল-২০২২ইং তারিখের আদেশ রদ ও রহিত করা হলো।

তদমতে মূল মোকদ্দমাটি চূড়ান্ত শুনানী না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার তপছিল বর্ণিত ভূমি হইতে বাদীগনকে বেদখল না করার জন্যে কিংবা শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে বিঘœ সৃষ্টি না করার জন্যে ১,২,৫,৬,৭,৮,১২ ও ১৩ নং বিবাদীকে বারন করা হইল। এবিষয় দেলোয়ার হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে না পাওয়ায় তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে ভূক্তভোগী পরিবারের দাবী, আদালতের নির্দেশ পেইয়ে তারা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝে নিচ্ছেন এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে কিছু অসাধূ সুবিধাভোগীরা নানা ভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন। যা প্রশাসনিক বাবে সঠিক তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসবে কারা আসল অপরাধী এবং কারা অবৈধ ভাবে জমি দখলের চেষ্টা করছেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদদের তালিকা সংগ্রহ চলছে-২০২৪

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে

Check Also

কোটি টাকার তেল চুরি করছে পায়রা বন্দর!সহযোগিতা করছেন, ডিপো-ঠিকদার আলো!

কোটি টাকার তেল চুরি করছে পায়রা বন্দর!সহযোগিতা করছেন, ডিপো-ঠিকদার আলো!

কোটি টাকার তেল চুরি করছেন পায়রা বন্দর!সহযোগিতা করছেন মেঘনা ডিপো-ঠিকদার আলো! ।। এম. লোকমান হোসাঈন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *