খেজুরের বদলে বরই দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ দিলেন মন্ত্রী

আঙুর, খেজুরের পরিবর্তে বরই, পেয়ারা দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। মন্ত্রীর এ পরামর্শে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, জনগণ বরই খাবে, আর মন্ত্রী খাবেন আঙুর, খেজুর। কী আশ্চর্য রাষ্ট্রব্যবস্থা! জনগণের দুরবস্থা নিয়ে মন্ত্রী মহোদয়রা এখন রসিকতা করার সাহস দেখান।

ন্যাপ নেতৃদ্বয় আরও বলেন, আঙুর, খেজুরের পরিবর্তে শিল্পমন্ত্রী বরই দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ এমন সময় দিলেন, যখন সরকার বাজারব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। অসৎ ব্যবসায়ী, সিন্ডিকেট আর লুটেরাদের কাছে অসহায় সরকার। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছুটছে। ফলে নরক যন্ত্রণা ভোগ করছে জনগণ।

তারা বলেন, সরকার স্বীকার করুক আর নাই করুক, কালো টাকার ছড়াছড়ি, দুর্নীতি সীমাহীন, বাজার নিয়ন্ত্রণহীন, জ্বালানি তেলের ভয়াবহ উচ্চমূল্য, ডলারের গলাকাটা দাম, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অগ্নিমূল্য, মুদ্রাস্ফীতির কারণে দেশের সাধারণ মানুষের এখন নিশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম। ঠিক তখনই জীবন চালানোর জন্য শতকরা প্রায় ৫০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি মানুষকে একেবারে পেরেশান করে তুলেছে।

তারা বলেন, এতসব চাপের মধ্যে থেকেও আমাদের মন্ত্রী মহোদয়রা কিন্তু সাধারণ জনগণের সঙ্গে রসিকতা করতে ছাড়ছেন না। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, তারা রসিকতা করছেন জনগণের সংকট নিয়ে। জনগণ যে আসলেই খারাপ আছে, এটা তারা উপলব্ধি করতে পারেন না। জনগণের দুরবস্থা নিয়ে আরেক ধাপ বেশি রসিকতা করলেন শিল্পমন্ত্রী। একজন মন্ত্রীর যদি এই ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের জীবনধারণ সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকে, তাহলে উনি কীসের ওপর ভিত্তি করে মন্ত্রী থাকেন।

নেতৃদ্বয় আরও বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্যে মানুষ যখন জর্জরিত, তখন মন্ত্রী মানুষের সঙ্গে ঠাট্টা-মশকরা করেন। জনগণ বরই দিয়ে ইফতারি করবে, আর মন্ত্রী ও তার পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে ওঠা লুটেরাগোষ্ঠী আঙুর-খেজুর খাবে। তা হবে না, তা হতে পারে না। তেল, নুন, পেঁয়াজ, চিনি, আদা, রসুন, মরিচ- যেটাতেই হাত দেয় হাত পুড়ে যাচ্ছে। সকালে একদাম, তো বিকেলে ডাবল দাম।