গাজায় পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রতিদিনই সেখানে শত শত ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ধ্বংস করা হয়েছে বহু বাড়ি-ঘর, মসজিদ, স্থাপনা। হামলা থেকে বাদ যায়নি হাসপাতালও। সেখানকার বেশিরভাগ হাসপাতালেই অভিযান চালিয়ে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ফলে চিকিৎসা নেওয়ার মতো আর কোনো হাসপাতালই এখন অবশিষ্ট নেই।
গাজায় এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে
সেখানে নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই। আল-শিফা হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ ওই হাসপাতালে ইসরায়েলের অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ২১ জন রোগী নিহত হয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও জানিয়েছে যে, মধ্য গাজার আল-আকসা হাসপাতাল প্রাঙ্গনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজায় অভিযানের সময় আরও এক ইসরায়েলি সেনা প্রাণ হারিয়েছে। ২০ বছর বয়সী ওই সেনার নাম নাদাভ কোহেন। এ নিয়ে গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৬০০ ইসরায়েলি সেনা প্রাণ হারিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। গাজার উত্তর, দক্ষিণ এবং মধ্যাঞ্চলে কোনো স্থানই ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে রেহায় পায়নি।
পুরো গাজা যেন এখন এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানকার অধিকাংশ মসজিদ, বাড়ি-ঘর এবং ভবনই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। গত পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে কমপক্ষে ৩২ হাজার ৭৮২ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৫ হাজার ২৯৮ জন।