ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে— এমভি রুয়েন জিম্মির পর জলদস্যুরা জাহাজ এবং ১৭ ক্রুর মুক্তিপণ বাবদ ৫০০ কোটি ভারতীয় রুপি দাবি করেছিল। মুম্বাই পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইস এই তথ্য জানিয়েছে।
রোববার প্রকাশিত হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— ১৭ ক্রুসহ জিম্মি এমভি রুয়েন একটি কার্গো জাহাজ। জিম্মির পর জলদস্যুরা জাহাজের মালিকপক্ষকে ডেকেছিল। তারা জাহাজ এবং ক্রুদের মুক্তির বিনিময়ে ৫০০ কোটি রুপি দাবি করেছিল।
এর আগে গত ১৫ মার্চ আরব সাগরে রুদ্ধশ্বাস অভিযান শুরু করে ভারতীয় নৌবাহিনী। দীর্ঘ ৪০ ঘণ্টার ওই অভিযান শেষে জাহাজটি দখল করে রাখা ৩৫ সোমালি জলদস্যুকে আটক করে তারা। পরে শনিবার মুম্বাই পৌঁছায় ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা। এরপর দস্যুদের মুম্বাই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গত বছরের ডিসেম্বরে এমভি রুয়েন নামের জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। তারপর তারা সেটিকে সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায়। জাহাজটি মাল্টায় নিবন্ধিত হলেও এর মালিক বুলগেরিয়ার একটি কোম্পানি।
উল্লেখ্য, ভারতীয় বাহিনীর অভিযানে এমভি রুয়েন মুক্ত হলেও বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এখনও জলদস্যুদের কব্জায় রয়েছে। গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাত যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরের সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। এ সময় জাহাজে থাকা ২৩ নাবিককেও জিম্মি করা হয়।
জাহাজটির মালিক চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের কোম্পানি এস আর শিপিং। জাহাজ ছিনতাই হওয়ার ৯ দিনের মাথায় গত বুধবার দুপুরে তারা জানায়, জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। তবে কয়লা ভর্তি ওই জাহাজ এবং ২৩ নাবিকের জন্য মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে কিনা, কিংবা মুক্তিপণের অংকটি কত সে বিষয়ে এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ স্পষ্ট করে কিছু বলেনি।