ভারতের উত্তর প্রদেশে হোলি উৎসবের আগে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি মসজিদ। প্রশাসন দাবি করেছে, বিশৃঙ্খলা এড়াতে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, বরেলির রাম বরাত রুট এবং শাহজানপুরের রাস্তায় সমস্ত মসজিদগুলো ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। হোলির আগে এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
যোগী প্রশাসনের দাবি, হোলি উৎসবের দিন মসজিদগুলোর দেয়ালে যাতে রঙ না লাগে, তার জন্যই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তর প্রদেশে মাদরাসা শিক্ষা নিষিদ্ধ করে আদালতের রায়
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার মসজিদের ইমামদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য কোনোভাবেই যেন মসজিদগুলোর দিকে লক্ষ্য করে কিছু ছোঁড়া না হয়, তা নিশ্চিত করতে তারপলিন শিট দিয়ে আগেভাগে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে মসজিদগুলো। এ ছাড়াও রাম বরাত যাত্রার সময় মিছিলের দু’পাশে পর্যাপ্ত পুলিশ থাকবে।
এছাড়া শাহজাহানপুরে হোলি যাত্রার আগে সব মসজিদ প্লাস্টিকের শিট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, মিছিলের রুটের পাশে অবস্থিত মসজিদগুলো প্লাস্টিকের চাদরে আবৃত করা হয়েছে এবং যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শাহজাহানপুরের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
উত্তর প্রদেশ প্রশাসন সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, আলিগড় ও সম্বল জেলার নয়টি জায়গায় মসজিদ ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে আলিগড়ে রয়েছে দুটি মসজিদ। একটি রয়েছে সবজি মাণ্ডি এলাকায়। অন্যটি রয়েছে দিল্লি গেট এলাকায়। পাশাপাশি সম্বল জেলায় সাতটি মসজিদ একইভাবে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, হোলিকে কেন্দ্র করে যাতে কোনওরকম অশান্তি না ছড়ায় সেজন্য স্পর্শকাতর এলাকায় ফ্ল্যাগ মার্চ করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ পিকেটিং বসানো হয়েছে।
সম্বলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রীশ চন্দ্র জানান, বিগত অনেক বছরের দেখা গেছে, মসজিদের গায়ে কেউ কেউ রং ছিটিয়ে দেয়। এই ধরনের ঘটনা যাতে এই বছর না ঘটে সেজন্য এবার মসজিদের ইমামদের সম্মতি নিয়েই ত্রিপল দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে।
সার্কেল অফিসার অনুজ কুমার চৌধুরী জানান, যেসব জায়গায় হোলি খেলা হয়, সেই সব জায়গাতেই মসজিদ ত্রিপল দিয়ে ঢাকা হয়েছে।
গত বছরও একইভাবে সম্বল জেলার একাধিক মসজিদ ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল।