আবাহনী লিমিটেড ৭ ম্যাচের সবকটা জিতে এককভাবে সবার ওপরে থেকে সুপার লিগ নিশ্চিত করে ফেলেছে। তাদের পরই অবস্থান মোহামেডানের (৭ ম্যাচে ৬ জয় ও ১ হার)। মোহামেডানের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে প্রাইম ব্যাংক, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জ। এই তিন দলের পয়েন্ট (৭ ম্যাচে ৫ জয় আর ২ পরাজয়ে) ১০ করে।
মোটকথা ওপরের ৫ দলেরই সুপার লিগ খেলার সম্ভাবনা বেশি এবং সুপার সিক্সের লড়াইয়ে আবাহনী, মোহামেডানের পাশাপাশি প্রাইম ব্যাংক, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জও আছে এগিয়ে।
পাশাপাশি আরও দুটি দল এখনো সুপার লিগের দৌড়ে আছে। তার মধ্যে সবার ওপরে শাইন পুকুর। আজ রোববার সপ্তম রাউন্ডে জয় পেয়েছে তারা। খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শাইন পুকুর ৯২ রানে হারিয়েছে সিটি ক্লাবকে। ৭ ম্যাচে তাদের ৪ নম্বর জয়ের বিপরীতে সিটি ক্লাবের এটা সপ্তম হার।
ব্যবধান দেখে হয়ত ভাবছেন, শাইন পুকুরের পুঁজি ছিল বড়। আসলে তা নয়, ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ফতুল্লা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৭৬ (৩৮.৩ ওভার) রানে সব উইকেট হারায় শাইন পুকুর। জাতীয় দলে সাদা বলের ওপেনার তানজিদ তামিম (৬) আর এবার যুব দলের হয়ে বিশ্বকাপ (অনূর্ধ্ব-১৯) খেলে আসা জিসান আলম (৮), অধিনায়ক আকবর আলী (১২), উইকেটরক্ষক ইরফান শুক্কুর (২৪) রান পাননি।
খালিদ (৬৬ বলে ৪৭) আর মেহরুব (৪৮ বলে ৩৮) দুটি মাঝারি ইনিংস খেললে ১৭০ পর্যন্ত যায় আকবর আলীর দল। সিটি ক্লাবের তিন বোলার ইরফান হোসেন (৪/২৬), মইনুল (৩/৩৫) ও আশিকুল আলম নাজিম (২১) শাইন পুকুরকে কম রানে বেঁধে ফেলেন।
কিন্তু শাইন পুকুরের বোলার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ (৪/২২), নাইম আহমেদ (৩/১৯) ও রিশাদ হোসেন (২/২) ওই কম পুঁজিকেই জয়ের জন্য যথেষ্ঠ বলে প্রমাণ করেন। তাদের সাঁড়াসি বোলিংয়ে মাত্র ৮৪ রানে সব উইকেট হারায় সিটি ক্লাব।