বরিশাল অফিস :: বরিশাল নগরীর রুপাতলী দারুস সুন্নাহ কওমী মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীসহ সকল ব্যবস্থাপনা যথাযথভাবে পালনে অর্থাভাবে মাদ্রাসাটি পরিচালনায় বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে।
এতে করে মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, ৩ বেলা খাবারসহ যাবতীয় ব্যয় বহন বর্তমানে বেশ কস্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।বিশেষ করে মাদ্রাসাটিতে শিক্ষার্থীসহ কর্মচারীদের তিন বেলা খাবারে্র ব্যয় বহনে চরম অর্থঝুঁকিতে পতিত হয়েছে মাদ্রাসাটি। ফলে মাদ্রাসায় অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীসহ কর্মচারীদের তিন বেলায় যথাযথভাবে খাবার পরিবেশন করা সম্বব হচ্ছে না।
আরো পড়ুন: জীবনসঙ্গীর মধ্যে যেসব গুণ দেখে বিয়ে করবেন
আরো পড়ুন: পিছু হাটলো যমুনা গ্রুপ
ফলে প্রায়দিনই খাদ্যের সংকটে কেউ অনাহার আবার কেউ একবেলা খাবার পেলে অন্যবেলায় খাবারের জন্য বেশ ছূটোছুটি করতে হয় কিংবা অর্ধাহারেই রয়ে যায়। জানা যায়, রুপাতলী দারুস সুন্নাহ কওমী মাদ্রাসাটি ১৯৯৫ সাল থেকে সুনামের সাথে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সমাজের বিত্তবানসহ দানশীলদের সহযোগীতায় মাদ্রাসাটি সকল কার্যক্রম যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছিল। সম্প্রতি করোনার মহামারীতে দেশ চরম অর্থঝুকিতে পড়েছে।
সকল ক্ষেত্রের পাশাপাশি যার প্রভাবও পড়েছে মাদ্রাসাটিতে।শিক্ষার্থীদের তিন বেলা খাবার পরিবেশনই যেন এখন পরিচালনায় দায়িত্বরতদের কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা যায়, মাদ্রাসাটিতে তিন বেলায় নুরানী-হেফজ-কওমী শাখা মিলিয়ে ১১০ জন শিক্ষার্থী-কর্মচারীদের খাবারের যোগান দিতে হয়। এক্ষেত্রে ৩২-৩৫ কেজি চাল নিত্য প্রয়োজন হয়। বর্তমানে অর্থাভাবে খাবার পরিবেশনে চরম অর্থ সংকটসহ নানান অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে মাদ্রসাটিকে।
স্থানীয়দের মতে এমতবস্থায় মাদ্রাসাটিতে সরকারের সুনজর থাকলে প্রতিকুলতা কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।এ বিষয়ে মাদ্রাসার বোর্ডিং সুপার ও হিসাব রক্ষক ইলিয়াস মোল্লা জানান, মাদ্রাসাটিতে প্রতিদিন যে পরিমানে নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রাব্যাদির প্রয়োজন হয় তা আমাদের পূরনে হিমশিম খেতে হয়। ছাত্ররা পেট ভরে দু-বেলা খেতে পর্যন্ত পায়না । আমরা অতি সত্বর সকলের নিকট সহযোগীতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার পরিচালক মোঃ মুজিবুর রহমান জানান, অর্থাভাবে আমাদের পক্ষ্যে মাদ্রাসার ছাত্রদের খাবারের চাহিদা মেটাতে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে। এমতবস্থায় আমরা সরকারসহ সমাজের উচ্চবিজ্ঞশালীদের দৃষ্টি আকর্সন করছি। আমরা একটু সহায়তা পেলে মাদ্রাসার ছাত্রদের কস্ট লাঘবে সক্ষম হব। উল্লেখ্য, মাদ্রাসায় তিন বিভাগ মিলিয়ে ছাত্রদের মাসিক বেতন গ্রহন করে তা থেকে অর্ধশতাংশও চাহিদা মেটাতে অর্থাভাবে ব্যর্থ হয় মাদ্রাসা কর্তিপক্ষ্য।
এদিকে মাদ্রাসাটিতে গরীব মেধাবী ছাত্রদেরকে বিনামুল্যে খাবার পরিবেশনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও মাদ্রাসাটিতে শিক্ষা কার্যক্রম সুচারু রুপে পরিচালনায় দক্ষ অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মাদ্রাসাটির একটি ভবন নির্মানাধীন যার নির্মাণকাজ অর্থাভাবে সম্পন্ন হচ্ছেনা ।