সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অভিযান শুরুর প্রস্তুতি নিয়েছে সোমালিয়ার পুলিশ ও আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর সম্মিলিত একটি দল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স সোমবার এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে।
মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’র নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা।
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ছিনতাইয়ের কথা উল্লেখ করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এটি সোমালি জলদস্যুদের দ্বারা গত নভেম্বর থেকে ২০টিরও বেশি জাহাজ ছিনতাই চেষ্টার সর্বশেষ ঘটনা। এর আগে প্রায় এক দশক সোমালি জলদস্যুদের দ্বারা জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা বন্ধ ছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সোমালিয়ার পুন্টল্যান্ড এলাকাটি অসংখ্য জলদস্যু চক্রের ঘাঁটি। আধা স্বায়ত্তশাসিত এই অঞ্চলের পুলিশ বাহিনী জানিয়েছে, তারা উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে এবং এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে জিম্মি করা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিয়েছে।
পুন্টল্যান্ডের পুলিশ একটি বিবৃতিতে বলেছে, আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের পরিকল্পনা করছে— এমন রিপোর্ট পাওয়ার পর পুন্টল্যান্ড পুলিশ বাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে।
এ বিষয়ে ভারতের নৌবাহিনীর কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এদিকে গতকাল রোববার পুন্টল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা জলদস্যুদের কাছে পাঠানোর সময় মাদক পরিবহনকারী একটি গাড়ি জব্দ করেছে তারা।
এর আগে গত শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনী আরেকটি পণ্যবাহী জাহাজ জলদস্যুদের হাত থেকে উদ্ধার করেছে। ভারতীয় নৌবাহিনী এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে জানিয়েছে, মাল্টার পতাকাবাহী এমভি রুয়েন নামের ওই জাহাজটিকে গত ডিসেম্বর ছিনতাই করা হয়েছিল। অভিযানে ভারতীয় কমান্ডোরা জাহাজে জিম্মি ১৭ নাবিক ও ক্রুকে মুক্ত করে। পাশাপাশি আটক করে ৩৫ জলদস্যুকে।