ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো ছাড়া মানুষের মুক্তির উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এজন্য সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করার আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত সমাবেশে রিজভী বলেন, এই নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে অবৈধ সরকার আমাদের স্বাধীনতাকে দুর্বল করেছে। একটি দেশের স্বার্থরক্ষা করতে গিয়ে সরকার নিজেদের দেশের স্বাধীনতাকে বিক্রি করে দিচ্ছে। এই সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
ভারতের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমরা পৃথিবীর সমস্ত গণতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করি। কিন্তু যখন দেখি একটি দেশ দেশের জনগণ নয়, বাংলাদেশ নয়, একটি অবৈধ দখলদার সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে; তাহলে কী করে সেই দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বন্ধুত্ব বজায় রাখতে পারে? কারণ তারা তো দেশের জনগণকে, এই দেশের মানুষকে কোনো মূল্যই দেয় না। ৭ জানুয়ারি যে ডামি নির্বাচন হয়ে গেল পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ তারা বলেছে, আমরা কোনো দলের পক্ষে নয়। আমরা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে এইটাই তো বড় কথা। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশ সেটি বলে না, তারা বলে আমরা এই সরকারের পক্ষে।
রিজভী আরও বলেন, একটি দখলদার অবৈধ সরকারকে নিজেদের গণতান্ত্রিক দেশ দাবি করে একটি দেশ যখন প্রকাশ্যে সমর্থন করে তখন ভাবতে হবে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অনেক দুর্বল অবস্থার মধ্যে আছে, দুর্বল হয়ে গেছে। আজকে দেশের মানুষ কথা বলতে পারে না। আজকে দেশের মানুষ তার যে ন্যায্য অধিকার সেই অধিকারের কথা বলতে পারে না। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।