দুর্ভিক্ষের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে গাজা: যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা

পুরো গাজা, বিশেষ করে গাজার উত্তরাঞ্চল দুর্ভিক্ষের ‘উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে বলে মন্তব্য জানিয়েছেন জানিয়েছেন মানবাধিকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত ডেভিড স্যাটারফিল্ড। দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে সেখানে দ্রুত বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলেও মনে করেন তিনি। খবর রয়টার্সের।

গাজায় যে মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে তা কমিয়ে আনতে কয়েক সপ্তাহ আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। তিনি বলেন, যদি ইসরায়েল গাজায় মানবিক সংকট কমিয়ে আনতে ‘বিশেষ, দৃঢ় এবং উল্লেখকরার মতো’ বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তবে মিত্র হিসেবে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র বিনা শর্তে যে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে সেটা আর থাকবে না।

গাজা বিষয়ে কথা বলার সময় মঙ্গলবার সাংবাদিকরা স্যাটারফিল্ডের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ওয়াশিংটন ইসরায়েলের গ্রহণ করা উদ্যোগে সন্তুষ্ট কিনা।

তিনি সরাসরি এ প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বলেন, গত আড়াই সপ্তাহ ধরে ইসরায়েল সুনির্দিষ্ট কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে সেখানে এখনও উল্লেখ করার মত কাজ করা বাকি আছে। সে প্রক্রিয়া চলছে।

প্রায় সাড়ে ছয় মাস ধরে গাজা যুদ্ধ চলছে। জাতিসংঘ গত কয়েক মাস ধরেই অভিযোগ করছে, গাজায় ত্রাণ বিতরণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে ইসরায়েল।

এদিকে ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি মঙ্গলবার বলেন, এপ্রিলে গড়ে প্রতিদিন ২০০টি ট্রাক ত্রাণ নিয়ে গাজায় প্রবেশ করতো। সোমবার ৩১৬টি ট্রাক প্রবেশ করেছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ।

তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, আমরা সবসময়ই জোর দিয়ে বলে এসেছি, বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি মানুষের সৃষ্টি এবং কেবলমাত্র রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এ সংকটের সমাধান সম্ভব। গত কয়েকদিনে আমরা সেটা দেখতেও পেয়েছি, এটা সম্ভব।

জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা জানান, সামনেই গরম পড়তে শুরু করবে। ওই সময়ে রোগের প্রাদুর্ভাব এড়াতে এখন ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নেওয়ার দিকেও মনযোগ দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে।

Check Also

রাফায় ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ৯ জনের মৃত্যু

ফিলিস্তিনের রাফায় ইসরাইলি হামলায় একই পরিবারের ৯ সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে বেঁচে গেছে ওই পরিবারের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *