বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীদের জন্য রাশিয়া আরও সহযোগিতা বাড়াতে চায় বলে জানিয়েছেন রাশিয়ান হাউসের মস্কোর প্রধান কার্যালয়ের উপ-প্রধান পাভেল সেভেস্তোভ।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
‘রোল অব রোসোত্রুদ ইন অ্যাডুকেশন, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইয়ুথ অ্যাকটিভিটি’ শিরোনামের এক সংবাদ সম্মেলনে পাভেল সেভেস্তোভ বলেন, বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীদের কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায়, তা জানতেই আমি ঢাকা সফরে এসেছি। বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে আমাদের অনেক সফলতা রয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীদের জন্য সহযোগিতা বাড়াতে পারি। শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা রাশিয়ায় লেখাপড়া করতে পারবে।
বিজ্ঞানে বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীদের তৎপরতা বাড়ানোর প্রতি জোর দিয়ে তিনি বলেন, বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীদের জন্য সহযোগিতা বাড়াতে চায় রাশিয়া। এই ক্ষেত্রে রাশিয়ার উন্নয়নে বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীরাও যুক্ত হতে পারবে। সেজন্য রাশিয়াই অর্থায়ন করবে।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কোনো স্কলারশিপের ব্যবস্থা রয়েছে কি না; জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের যেসব স্কলারশিপ রয়েছে, সবগুলোই বিশেষ। সেক্ষেত্রে আপনার প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া রাশিয়ায় যেসব শিক্ষার্থী পড়তে যান, তাদেরও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হয়।
কিন্তু বর্তমানে অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও কিছুটা সমস্যায় আছে জানিয়ে পাভেল সেভেস্তোভ বলেন, সেক্ষেত্রে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সুবিধা রয়েছে।
মস্কোর প্রধান কার্যালয়ের এই উপ-প্রধান বলেন, বাংলাদেশের দীর্ঘ ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে। রাশিয়ার জনগণ তা জানে। রাশিয়ার ইতিহাসও অনেক বিশাল। শিল্প-সংস্কৃতিতে রাশিয়ার অনেক খ্যাতি আছে। সাংস্কৃতিকভাবে দুদেশের বোঝাপড়া অনেক ভালো এবং সেটা অব্যাহত রাখা দরকার। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যকার অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও বাড়বে বলে আশা করছি। আমাদের দুদেশের অংশীদারত্বও বন্ধুত্বপূর্ণ।