একজন মানবিক সমাজসেবক সাজ্জাদ পারভেজ ॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিজের পরিচিতি নয়, যার কাজ শুধু সামাজিক কাজের মধ্যে নিজেকে লুকিয়ে রাখা। এমন মানুষ বর্তমান সমাজে খুব কমই পাওয়া যায়। বর্তমানে অধিকাংশ সরকারী-বেসরকারী চাকরিজীবিরা ব্যস্ত থাকে কখন অফিসের কাজ ফেলে পরিবার-পরিজন নিয়ে সময় কাটানোর জন্য।
তবে বরিশাল সমাজসেবা অফিসের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজ একটু ব্যতিক্রম। সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজ এর ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমেই ফুটে উঠছে তিনি কতটা মানবিক একজন মানুষ। সবসময় ব্যস্ত থাকে অন্যের উপকার নিয়ে। বরিশাল জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সরকারী সুবিধা নিতে আসা মানুষের সাথে সহজ-সরল হাস্যজ্জলভাবে তাদের কথা শুনে সাথে সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সুন্দর পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
যেমন ঈদের দিন বা কোনো সরকারী ছুটির দিন সবাই যখন পরিবার নিয়ে ব্যস্ত, তিনি তখন সরকারী শিশু নিবাস এর শিশুদের নিয়ে সময় কাটানোর জন্য ব্যস্ত থাকেন। তাদের জন্য ভালো খাবার পরিবেশনসহ নানা সহযোগিতাও করে থাকেন তিনি। পুরস্কার স্বরূপ পেয়েছেন প্রবেশন অফিসার থেকে বরিশাল সমাজসেবা অফিসের সহাকরী পরিচালক পদ। ফেইজবুক পেইজে এর দেয়ালে শোভা পাচ্ছে অসহায় মানুষের সেবা প্রদানের নানা মানবিক কাজের করা ছবি।
এছাড়া সারাদেশে যখন সরকারী কর্মচারীদের অধিকাংশ কর্মকর্তাদের স্যার না বললে সেবা নিতে আসা মানুষদের সাথে খারাপ আচারণ করত ঠিক তখনই প্রবেশন অফিসার থাকাকালীন সময়ে সাজ্জাদ পারভেজ এর টেবিলে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। এমন সময়ে সাজ্জাদ পারভেজের বিষয়টি অন্য রকম উদাহরণ।
সাজ্জাদ পারভেজ সরকারি চাকরির বাইরে মানবিক কাজে ভূমিকা রাখায় ২০২২ সালে প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছিলেন। ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে টানা তিনবার তিনি জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রবেশন কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছিলেন। পেশাগত কাজে পরিশুদ্ধ সেবার জন্য তিনি ২০১৯ ও ২০২০ সালে দুবার জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৭ সালে পেয়েছিলেন বরিশাল জেলা প্রশাসন পদক। সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজ বলেন, তাঁর দপ্তরের কাজই হলো মানুষের সেবা করা
কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদদের তালিকা সংগ্রহ চলছে-২০২৪
যেমন, অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা, দুস্থদের পড়াশোনায় সহায়তা দেওয়া, কারাগারে মানবিক সহায়তা, জীবিকার জন্য প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা বাড়ানো, দুস্থ নারীদের পুনর্বাসন, অনাথ শিশুদের পড়াশোনার ব্যবস্থা, লঘু অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রবেশনে এনে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নেওয়া, পরিচয়হীন শিশুদের পরিচর্যা, বেড়ে ওঠার ব্যবস্থা করা, সমাজ থেকে বিচ্যুত কিশোরীদের পুনর্বাসন ইত্যাদি।
এসব কাজ করতে গিয়ে তাঁর মনে হয়েছে, মানুষের এত এত সমস্যা যে তাদের দপ্তরের একার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব না। তাই তিনি ঠিক করেছেন, বিপদগ্রস্ত হয়ে সেবা নিতে আসা মানুষটি যেন তাঁর ব্যবহারে সন্তুষ্ট হয়।
সাধারন মানুষের দাবী বাংলাদেশের প্রতিটা জেলায় যেনো একজন সাজ্জাদ পারভেজ থাকে। তাহলে সমাজের মানুষেরও উপকারে আসবে এবং রাষ্ট্র ভালো চলবে।
একজন মানবিক সমাজসেবক সাজ্জাদ পারভেজ
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে