কোটি টাকার তেল চুরি করছেন পায়রা বন্দর!সহযোগিতা করছেন মেঘনা ডিপো-ঠিকদার আলো! ।। এম. লোকমান হোসাঈন ॥ চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত জ্বালানি তেল বরাদ্দ এনে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
যার বেশ কিছু তথ্য আসে সময়ের বার্তা‘র হাতে। চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারী রাত ২ টায় বরিশাল মেঘনা ডিপো থেকে সুরভী কোম্পানীর অটি জল সিমান্ত এর মাধ্যমে প্রায় এক কোটি টাকার জ্বালানি তেল সরবারাহ করেন, পটুয়াখালী পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, মেঘনা পেট্টোলিয়াম লিমিটেড এর সাথে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষর চুক্তি সম্পাদানার পর বরিশাল ডিপো থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহর জন্য নিয়োজিত থাকা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মিশু এন্টারপ্রাইজ এর প্রোপাইটার মো: আলাউদ্দিন আলো বিভিন্ন সময়ে চুক্তি মোতাবেক তেল সরবারাহ করে আসছে।
২৯ ফেব্রুয়ারী চালন পত্র ছাড়া পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এর মেরিন এন্ড কনজারভেন্সি বিভাগের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন এস. এম. শরিফুর রহমান এক লিখিত পত্রের অনুরোধক্রমে এক কোটি টাকা সমমূল্যের জ্বালানি তেল সরবরাহ করেন, ঠিকাদার আলাউদ্দিন আলো।
দু দিনের জীবন কবিতা তাসনিম ইসলাম আনিকা
২৯ ফেব্রুয়ারী সরকারী কোনো ছুটি না থাকার পরেও রহস্যজনক ভাবে কেন বা কি কারনে জ্বালানি তেল সরবারহের চালান কাটতে পারেনি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ২৯ ফেব্রুয়ারী দিনে তেল সংগ্রহ না করে কেনো রাত ১১ টার পর তেল সংগ্রহ করতে হয়েছে। যার কোনো সদত্তোর দিতে পারেননি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বরিশাল মেঘনা ডিপো এর ম্যানেজার কামরুল হাসান।
এছাড়া ২৯ ফেব্রুয়ারী রাতে পায়রা বন্দরে তেল এর জাহাজ না গিয়ে ঠিকাদার আলাউদ্দিন আলোর নির্দেশে, বরিশাল নগরীর কেডিসি এলাকায়, নোঙ্গর করে চোরা তেল কারবারীদের মাঝে দুইটি তেল সরবারহকারী ট্রাকে বিক্রি করে দেন। বাকি তেল, বরিশাল দপদপিয়া এলাকায় জাহাজ নোঙ্গর করে রুপাতলী এলাকার শাওন এর পেট্টোল পাম্প এর বিক্রি করে দেন। যার তথ্যপ্রমান সময়ের বার্তা‘র কাছে সংরক্ষিত।
নতুনদের জন্য কিছু SEO এর ধারণা (SEO কি?)
অটি জল সিমান্ত এর মাস্টার সময়ের বার্তাকে বলেন, যেহেতু পায়রা বন্দর এর তেল আওয়ামীলীগ নেতা আলাউদ্দিন আলো তেল সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, আর তাদের জাহাজ হচ্ছে ভাড়ায় চালিত, ঘটনার পরের দিন সকালে পায়রা বন্দর গিয়ে কিছু তেল রেখে বাকি তেল, আলাউদ্দিন আলোর নিদের্শে, কেডিসি ও দপদপিয়া এলাকায় তেল নামানো হয়েছে।যেভাবে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ, তেল চুরির সাথে জড়িত, প্রথমে চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত তেল বরাদ্দ করেন, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পরে কিছু তেল তাদের বিভিন্ন জাহাজ ও সংরক্ষিত স্থানে রেখে দেন। বাকি তেল যে জাহাজে বা ট্রাকে করে সরবরাহ করা হয়, ওই ট্রাক বা জাহাজে করে বিভিন্ন পেট্টোল পাম্প সহ চোরাকারবারীদের কাছে সল্প মূল্যে বিক্রি করে দেন। অর্থের এককাংশ তেল সরবরাহকারী ডিলার, বা প্রতিষ্ঠান নেন বাকি অংশ পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এর কর্মকর্তারা নেন। যার ফলে প্রতিবছর সরকারী কয়েক কোটি টাকা লু-পাট হচ্ছে।
কোটি টাকার তেল চুরি করছে পায়রা বন্দর!সহযোগিতা করছেন ডিপো-ঠিকদার আলো!
মূলত: পায়রা বন্দরে বিদেশ থেকে আসা বিভিন্ন জাহাজগুলো বন্দরে এবং এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হলে পায়রা বন্দরের নির্দিষ্ট কিছু জলযান আছে, এই জলযানগুলোর জন্য মূলত জ্বালানি তেল ব্যবহার করা হয় এছাড়া নিজেস্ব জেনেরটার আছে তার জন্যও জ্বালানি তেল সরবারাহ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি জলযান বন্দর থেকে কোথায় কত নটিকেল মাইল যাচ্ছে এবং জলযানগুলোর নিজেস্ব মিটার আছে।
অন-অভিবাসী ভিসা ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে
মিটারগুলো চেক করলেই বেড়িয়ে আসবে প্রতিদিন কোন কোন জলযানগুলো কতো নটিকেল মাইল গিয়েছেন ও কতো নটিকেল মাইলের বিপরীতে কি পরিমান জ্বালানি তেল খরচ হয়, তার অনুসন্ধান করা হলে, সহজেই বেড়িয়ে আসবে প্রতিমাসে কি পরিমান জ্বালানি তেল ক্রয় করেছেন, তার বিপরীতে কতো নটিকেল মাইল জলযান ব্যবহার করা হয়েছে। এক অনুসন্ধানে দেখা যায়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারীতে ১ কোটি ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ৮শ টাকার জ্বালানি তেল ক্রয় করেন।
মার্চ মাসে প্রথম ধাপে ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯শত ৩৮ টাকা বিশ পয়সা ও দ্বিতীয় ধাপে ৭৮ লাখ ৯হাজার ৩২ টাকা ২৫ পয়সা এবং এপ্রিল মাসে ৯৬ লাখ ৪ হাজার ৯শত বিশ টাকা মোট ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭২ হাজার ৬শত ৯০ টাকা ৪৫ পয়সা।
যার অধিকাংশ জ্বালানি তেল প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত বরাদ্দ করে বছরে কোটি কোটি টাকার জ্বালানি তেল চোরাকারবারীদের কাছে বিক্রি করে দেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদদের তালিকা সংগ্রহ চলছে-২০২৪
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে