ছাত্রলীগ’র ক্যাডার খ্যাত ওসি মুজাহিদুল বরিশালে! স্টাফ রিপোর্টার ॥ সদ্য বিদায়ী স্বৈরাচার সরকারের বিশেষ কোটায় পুলিশে চাকরী করে সল্পদিনে অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালীর আমড়াগাছিয়া গ্রামের বাসীন্দা মুজাহিদুল ইসলাম। এছাড়া ভাইকেও দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সমবায় অধিদপ্তরে চাকরী।
বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় কর্মরতকালীন সময়ে এলাকার নিরিহৃ মানুষদের, থানায় ঢেকে নিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেন মুজাহিদ। প্রতিপক্ষের সাথে আতাত করে থানায় ঢেকে নিয়ে বরর্বর নির্যাতন করারও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। থানায় আসামী নিযার্র্তন করার ঘটনায় মামলাও করা হয়েছে বহুল বির্তকিত ওসি মুজাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালীর আমড়াগাছিয়া গ্রামের বাসীন্দা জেলার মৃত মো: আ: গফুর এর ছেলে মো: মুজাহিদুল ইসলাম। গত মে মাসে ঢাকার মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজাহিদুল ইসলামসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ আদালতে মামলা করা হয়েছে।
নতুন করিকুলাম || অষ্টম শ্রেণির বাংলা অধ্যায় ২ || বাংলা ভাষার রূপ
অসমাপ্ত একটি সূত্র জানাগেছে ওসি মুজাহিদুল, শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থানা থেকে পালিয়ে যান ঢাকা। বর্তমানে বরিশাল রেঞ্জ এ বদলি হয়ে আসেন। সুযোগ বুঝে ফের বরিশালের গুরুত্বপূর্ন থানায় বসার লবিং করতেছেন বলে জানা গেছে। গত ৫ মে মুন্সিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন নির্যাতনের শিকার আবদুল বারেক।
মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হোসেন বলেন, জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ কাজী আবদুল হান্নান মামলার ঘটনার সত্যতা যাচাই করে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সেই সঙ্গে ভুক্তভোগীর জখমের বিষয়ে সিভিল সার্জনকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী আবদুল বারেক ঢাকার মুন্সীগঞ্জ জেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া গ্রামের প্রয়াত হাসেম ব্যাপারীর ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জানান, পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে গত ২৩ এপ্রিল থানায় একটি মামলা করা হয়। পরের দিন ওই মামলায় এজাহারনামীয় আসামি দেখিয়ে আবদুল বারেকসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই দিন রাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের থানায় এনে পুলিশ নির্যাতন করে। পরদিন গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হলে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আইনজীবী জামাল হোসাইন বলেন, জেলহাজতে থেকে আবদুল বারেক বাদী হয়ে রোববার সিরাজদিখান থানার ওসি ও আট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে মামলা করেন।
সিরাজদিখান থানা এলাকার একাধিক বাসিন্দারা বলেন, ওসি মুজাহিদুল ইসলাম থানায় যোগদানের পর থেকে বিএনপি-জামায়ত শিবির সহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি সহ থানায় এনে মারধর করেছেন এমনকি ক্রস ফায়ারের হুমকি দিয়ে অর্থ বাণিজ্য করতেন। একই অভিযোগ বরিশাল গৌরনদী থানা এলাকার এাকাধিক বাসিন্দাদের।
গৌরনদী থানায় থাকাকালীন তৎকালীন সরকারের আমলে বিএনপি-জামায়ত শিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে অর্থ বাণিজ্য করেন। পরবর্তীতে ঢাকার বিমানবন্দর থানায় গিয়ে একই কায়দায় অর্থ বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা সম্পদ গড়েছেন ওসি মুজাহিদুল ইসলাম।
৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,প্রবন্ধ
মুজাহিদুল ইসলামের কাছ থেকে রক্ষা পাননি তার নিকটতম আত্ময়ী স্বজন। বরিশাল নগরী সহ দেশে বিভিন্ন যায়গায় নামে-ব্যনামে অঢেল সম্পদ গড়েছে মুজাহিদুল ইসলাম। মুজাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সময়ের বার্তা‘র হাতে আসা নানা তথ্য প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায়, মুজাহিদুল ইসলাম প্রায় ১৩ বছর পূর্বে আওয়ামীলীগের মনোনীত পটুয়াখালীর সাবেক এমপি ও ধর্ম বিষয় মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর সুপারিশে এসআই পদে পুলিশে চাকরীতে যোগদান করেন।
যোগদানের পর থেকেই অবৈধ পন্থায় অর্থ বাণিজ্য করে বরিশাল নগরীর কাজী পাড়া এলাকায় কয়েক কোটি টাকার সম্পদ করেছেন। সময়ের বার্তা‘র অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০২০ সাল এ বরিশাল নগরীর বগুড়া আলেকান্দা মৌজার ১৩৬ নং দাগ থেকে ৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন ২৭ লাখ টাকার বিনিময়।
দলিলে দেখানো হয়েছে ১৭ লাখ টাকা। বছর দুই আগে মুজাহিদুলের ক্রয়কৃত ৩ শতাংশ জমির পাশের বাসীন্দা শাহিন ভুইয়ার কাছ থেকে আরো ১ শতাংশ জমি ৯লাখ টাকা মূল্যে ক্রয় করেন মুজাহিদুল ইসলাম। এ এলাকার সিডিসি নতুন রাস্তা নয়াকান্দায় মুজাহিদুল আরো ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। যা ওইসময়ে বাজার মূল্য ছিল ৩০ লাখ টাকা। গ্রামেরবাড়ি মির্জাগঞ্জ সুবিধখালী দক্ষিন আমড়া গাছিয়ায় প্রায় কোটি টাকা খরচ করে গড়েছেন আলিসান বাড়ি।
ঢাকায়ও ফ্ল্যাট আছে অভিযোগ উঠে। মির্জাগঞ্জ থানার পাশে হাইস্কুলের সাথে নানা বাড়ির থেকে ওয়ারিশ সূত্রে পাওনা ২ শংতাশ জমির ওপরে কয়েক লাখ টাকা খরচ করে সেমি পাকা ঘর নির্মান করেন মুজাহিদুল। মুজাহিদুলের এক ভাই সমবায় বরিশাল অফিসের একজন গাড়ি চালক এছাড়া বাবার রেখে যাওয়া তেমন কোন সম্পত্তি না নেই তাদের। ওসি মুজাহিদুল ইসলামের মুঠোফোন বন্দ পাওয়ায় তার মতামত পাওয়া যায়নি।
ওসি মুজাহিদ বলছেন, তার বাবা বহু সম্পত্তির মালিক ছিলেন! বরিশাল কোর্টের আইনজীবি শাহাজাদা খুররম বলছেন অন্য কথা। শাহাজাদা খুররম সময়ের বার্তাকে বলেন, মুজাহিদ সম্পর্কে পুত্র বধূর ভাই। সে সুবাধে মুজাহিদের চাকরীর সময় ৬ লাখ টাকা প্রয়োজন পরে, এসময় শাহাজাদা খুররম ৬ লাখ টাকা প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন, মুজাহিদুল এর বাবা রেড়ক্রিসেন্ট এর চাকরী করার সুবাধে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় একটি ভাড়া বাসা নিয়ে থাকতো।
মুজাহিদুল পড়াশোনা করার জন্য অন্যজেলায় থাকতেন। মুজাহিদুল ইসলামের বাবার মৃত্যু সময়ে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থেকে গ্রামের বাড়ি মির্জাগঞ্জ নেওয়ার মতো গাড়ি ভাড়া ও দাফনের খরচ ছিলো না মুজাহিদুল ইসলাম এর পরিবারের। দাফন সহ সকল খরচ বহন করেন শাহাজাদা খুররম।
৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,নাটক
এমন ভাড়াটিয়া বাসার ৩ মাসের ভাড়া দিতে পাড়ায় বাড়ির মালিক বাসার আসবাব পত্র আটকিয়ে রেখেছিলো। মুজাহিদ পুলিশে চাকরীতে প্রবেশ করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকা সম্পত্তির পাহাড় গড়ে তুলেন। নিজের অপক্রর্ম গোপন রাখতে ফেইজ বুক পেজে স্থায়ী-অস্থায়ী ঠিকানাও বদলে ফেলে ঢাকার গাজিপুরের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে।
যাতে দুর্নীতি দমন কমিশন,সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহজে বুঝতে না পারেন গ্রামের বাড়ি কোথায়। বরিশালে যে এলাকায় জমি ক্রয় করছেন ওই এলাকার লোকজন জানেন মুজাহিদুলের বাড়ি গৌরনদীতে। এখানে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে মুজাহিদুল।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদদের তালিকা সংগ্রহ চলছে-২০২৪
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে