দমন-নিপীড়নে থেকেও আসামী হননি আ’লীগ নেতা তৌহিদুল! মো: ফরহাদ হোসেন ফুয়াদ ॥ বৈষাম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলারকারী ও গত পনে বছর বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল বানিজ্য লুটপাট, মামলা দিয়ে নানা ভাবে হয়রানি. সর্বশেষ বৈষাম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার পরেও বহাল তবিয়াতে বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের কোষাধক্ষ্য তৌহিদুল ইসলাম। গত ৭ দিনে ৫টি মামলা হয়েছে, মামলায় আসামী করা হয়েছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহ,
মেয়য় খোকন আব্দুল্লাহ ও এমপি জাহিদ ফারুক শামীম সহ প্রায় হাজার খানিক নেতাকর্মীকে। এমনকি পদপদবী ছাড়াও আসামী হয়েছে বহু নেতাকর্মী। তবে রহস্যজনক কারনে কোনো মামলায় আসামী হননি বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের কোষাধক্ষ্য তৌহিদুল ইসলাম। আওয়ামীলীগের কোষাধক্ষ্য তৌহিদুল ইসলামের দলীয় বিভিন্ন প্রোগ্রামের বেশ কিছু ছবি আসে সময়ের বার্তার হাতে।
যার মধ্যে সাদিক আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে বৈষাম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দমন-পীড়ন করতে রাস্তা অস্ত্রসহ মহড়া দেওয়া ও সাদিক আব্দুল্লাহ দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্যেশে বক্তব্য দেওয়ার ছবিও দেখা যায়। কথায় আছে লাগে না কাঁদা তার নামই শাহজাদা।
তিনি আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ। তার বাবাও ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে গড়েছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ। রয়েছে একেরপর এক নতুন নতুন মডেলের গাড়ি। এতো সম্পদ ও দলের সাইনবোর্ড লাগিয়ে আয় করেও রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাহিরে।
বলছি বরিশাল নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ তৌহিদুল ইসলামের কথা। বরিশাল নগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর সব থেকে কাছে মানুষ বা পরিবার সদস্যও বলা যায় তৌহিদুল ইসলামকে।
তবে গত ৫ শে আগস্ট সরকার পতনের পর সাদিক আবদুল্লাহ সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে থাকলেও তৌহিদুল ইসলাম রয়েছে বহাল তবিয়তে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনে পরে নানা অভিযোগ উঠেছে এই প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। পত্রিকা অফিস বরাবর ২টি অভিযোগ দিয়েছেন ১০নং ওয়ার্ডে ৯জন বাসিন্দা।
অভিযোগে সূত্রে জানাযায়, মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হিসাবে রয়েছেন তৌহিদুল ইসলাম। তার বাবা মৃত মফিজুল ইসলাম ঝন্টুর রাজনৈতিক অবস্থানের কথা চিন্তা করে তৎকালীন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ তাকে নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ পদ দেন।
এরপরই বিভিন্ন স্থানে হামলা ও লুটপাট করা শুরু করেন তৌহিদুল ও তার সঙ্গপাঙ্গরা। অভিযোগে আরো জানাযায়, সাদিক আবদুল্লাহ মেয়র থাকাকালীন সময় ক্ষমতার অপ-ব্যবহার করে বিএনপি নেতা ও সাবেক প্যানেল মেয়র শহিদের পুলিশ লাইন সংলগ্ন নবাব বাড়ির সামনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এক রাতে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার কাপড় লুট করে তৌহিদুল ইসলাম। পরবর্তীতে লুটের ঘটনায় ওই সময় বিএনপি নেতা ও প্যানেল মেয়র শহিদ একটি মামলা করেন তৌহিদুলের বিরুদ্ধে।
এর কিছুদিন পর শহিদকে জিম্মি করে, সাদিক আবদুল্লাহ মামলা উঠানোর জন্য স্বাক্ষর রাখে ও প্রাণনাশের হুমকিও দেয়। এরপর আর এবিষয় শহিদ কোন ব্যবস্থা নিতে পারে নি। এছাড়াও বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ জিলা স্কুলে ও ট্উান হলের সামনে বেশ কয়েকটি ও নগরীর প্রোগ্রামে পুলিশ লাইনের সামনে বসে লাঠি দিয়ে নেতাকর্মীদের পিটিয়ে আহত করেন তৌহিদুল ইসলাম ও তার সঙ্গপাঙ্গরা।
এছাড়াও তিনি মহানগরে কোষাধ্যক্ষ ও সাদিক আবদুল্লাহর কাছের লোক হিসাবে নগরীতে যতো চাঁদাবাজি হতো সব টাকা তার কাছে জমা হতো বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে আরেকটি অভিযোগে উল্লেখ করেন, চলতি মাসে বিএনপি অফিসে হামলা ও সে দিন নেতাকর্মীদের দুপুরে খাবারসহ তাদের অর্থ যোগানদাতা হিসাবে ছিলেন এই নেতা।
তবে ১০নং ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, বিএনপির অফিসে হামলার ঘটনায় তৌহিদুল ইসলামসহ প্রায় ৭শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় আবেদন করেন বিএনপির এক নেত্রী। তবে পরবর্তীতে বিষয়টি জানতে পেরে তৌহিদুল ইসলাম বিএনপির নেতাদের সাথে লবিং করে মামলা থেকে রেহাই পায়। তবে আওয়ামী লীগের এত বড় একটি পদে থেকেও অপরাধ করেও কিভাবে নিজেকে সাধু বানালেন তৌহিদ? এমন প্রশ্ন পুরো নগরবাসীর।
দমন-নিপীড়নে থেকেও আসামী হননি আ’লীগ নেতা তৌহিদুল!
এছাড়াও তিনি সাদিক আবদুল্লাহর মেয়র নির্বাচনে প্রায় ১কোটি ও এমপি নির্বাচনে জাহিদ ফারুক শামিম পক্ষে পুরো ওয়ার্ডে ৫০লক্ষ টাকা খরচ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে তৌহিদুল ইসলামের আয়ের উৎস সম্পর্কে জানতে দুদকে অভিযোগ করবেন বলে জানান একাধিক অভিযোগকারী।
অভিযোগের বিষয় জানতে, বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের কোষাধক্ষ্য তৌহিদুল ইসলাম এর ব্যক্তিগত মোবাইল এ একাধিকবার কল দেওয়া হলেও রিসিভ করেননি।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে