বরিশালের বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দোল পূর্ণিমা উৎসব পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল থেকেই মন্দিরসহ বাসাবাড়িতে পূজার আয়োজন করা হয়। পরে রঙ খেলায় মেতে ওঠেন তারা।
নগরীর শংকর মঠে পূজা উদযাপন কমিটির উদ্যোগে সকালে মন্দির প্রাঙ্গণে দেড় হাজারের বেশি সনাতন ধর্মালম্বীদের নিয়ে এ উৎসব হয়েছে। এ মন্দির কমিটির মতে, এটি দেশের সব চেয়ে বড় আয়োজন।
এছাড়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মন্দিরে দোল উৎসবে মেতেছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। ঐতিহ্যবাহী সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ চত্বরে সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের উদ্যোগে হয়েছে দোল উৎসব।
শংকর মঠ পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক তন্ময় দাস তপু বলেন, শংকর মঠে এবারের দোল উৎসবের আয়োজন শুধু বরিশাল নয়, গোটা দেশের মধ্যেই সবথেকে বড় আয়োজন। যেখানে শুধু বরিশাল নয় ফরিদপুর, রাজশাহী, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানের বাসিন্দারা অংশগ্রহন করেন।
শংকর মঠ পূজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি আকাশ দাস বলেন, এ উৎসব থেকে মানুষে মানুষ প্রেম-ভালোবাসার বন্ধনে অনিন্দ্য সুন্দর পৃথিবী গড়ার বার্তা দেওয়া হয়। আবিরের রঙে রঙিন করে একে অপরের সঙ্গে সৌহার্দ্য স্থাপনেই এ আয়োজন বলে জানান তিনি।
কলেজ ছাত্রী লোপা বৈদ্য বলেন, ভারতসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় দোল উৎসবে অংশগ্রহণ করেছি। উৎসবমুখর পরিবেশে বিশাল এ আয়োজন হয়েছে। আশাকরি তারা এ ধারাবাহিকতায় বজায় রাখবে।
এদিকে সরকারি ব্রজমোহন কলেজেও দোল উৎসব পালন করা হয়। রাধা কৃষ্ণের অষ্টসখার নৃত্যের তালে বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ চত্বরে শুরু হয় দোল উৎসবের এখানকার সূচনাপর্ব। মানুষে মানুষ প্রেম ভালোবাসার বন্ধনে অনিন্দ্য সুন্দর পৃথিবী গড়ার বার্তা দেয়া হয়। আবিরের রঙে রঙিন করে একে অপরের সঙ্গে সৌহার্দ্য স্থাপনেই এ আয়োজন বলে জানান আয়োজক সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন রাধা কৃষ্ণের মূর্তিতে আবির মাখিয়ে ভজন কীর্তনে ভক্তেরা পরস্পর রং খেলেন। দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়। আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।